পশ্চিমবঙ্গ

দুর্গাপুজো ঘরে বসে হয় না: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা, ১৬ অক্টোবর- হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও দুর্গাপুজো নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ১১০টি পুজোর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘দুর্গাপুজো ঘরে বসে হয় না।’

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুর্গাপুজোর আয়োজনে করোনা সংক্রমণের সুনামি আসার আশঙ্কা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিমধ্যে চিঠি দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার পরও পুজোর আয়োজনে কোনও রকম রাশ টানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মা দুর্গার পুজো আমরা বন্ধ করিনি। এই পুজো বন্ধ করা ঠিক নয়। তাছাড়া কোনও কিছুই তো বন্ধ হয়নি। রমজান-ইদ-গণেশপুজো, এগুলো ঘরে বসে করা যায়। কিন্তু দুর্গাপুজো মানে মায়ের বিরাট সংসার। সে পুজো বারোয়ারী। পুজো করে সব ক্লাব, কমিটি। বাড়ির পুজো খুব কম হয়।”

উল্লেখ্য,ইদ-গণেশপুজো বাড়িতে বসে পালন হলে দুর্গোৎসব কেন বন্ধ রাখল না রাজ্য সরকার? এই প্রশ্ন কদিন ধরেই উঠছে।বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সেই বিতর্কের জবাব দিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুর্গাপুজো আয়োজন নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “দুর্গাপুজোয় ৫০,০০০ সরকারি অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় তো?”

বিচারপতিরা প্রশ্ন করেন, “যেখানে সংক্রমণের আশঙ্কায় স্কুল, কলেজ পর্যন্ত খোলা হল না, সেখানে কীভাবে দুর্গাপুজোর আয়োজন হচ্ছে?” আদালতের কোনও প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারেননি অ্যাডভোকেট জেনারেল। তাঁকে শুক্রবারের মধ্যে আদালতে লিখিত জবাব পেশ করতে বলেছেন বিচারপতিরা।

আরও পড়ুন:  বিজেপির একজন মরলে তৃণমূলের চার জনকে মারব

এদিকে, প্রতি বছর বিজয়া দশমিতে উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ইছামতি নদীতে দুর্গাপ্রতিমার বিসর্জন হয়। একযোগে ভাসান হয় দুই বাংলার প্রতিমার। এই দৃশ্য দেখতে প্রতি বছর দশমিতে টাকিতে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সেই ভাসান হবে কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল। বৃহস্পতিবার সেই আশঙ্কা কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, শান্তিপূর্নভাবে ইছামতীতে দুই বাংলার বিসর্জন করা যাবে। দেখভালের দায়িত্বে থাকবে স্থানীয় পুজো কমিটি আর পুলিশ।

সূত্রঃ কলকাতা ২৪
আডি/ ১৬ অক্টোবর

Back to top button