মুম্বইয়ের কাছে কলকাতার হারের ধারা অব্যাহত
মুম্বাই, ১৩ এপ্রিল – মুখোমুখি সাক্ষাতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কেকেআরের রেকর্ড বলার মতো নয়। তবে রেকর্ড সব সময় সত্যি কথা বলে না। ঠিক যেমন স্কোরবোর্ড সব সময় ম্যাচ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয় না! আইপিএলের প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদকে ১০ রানে হারিয়েছিল কেকেআর। সেই ম্যাচে নাইটদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আর এদিন আলোচনা হওয়া উচিত নাইট বোলারদের নিয়ে। যেভাবে তাঁরা ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন, তাতে রাসেল, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাদের কথা বলতেই হয়। দারুণ শুরু করেও মুম্বই থমকাল কম রানে। ডেথ ওভারে মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানদের নাকানিচোবানি খাওয়ালেন রাসেলরা। যার জেরে মাত্র ১৫২ রানে আটকে গেল পাঁচবারের আইপিএল খেতাব জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস।
চিপকের উইকেট বরাবরই স্পিন-সহায়ক। উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পান স্পিনাররা। ফলে এই উইকেটে ১৭০-১৭৫ রান তাড়া করাটা বড় ব্যাপার। সেটা কেকেআরের ম্যানেজমেন্ট জানত নিশ্চয়ই। এদিন স্পিনিং ট্র্যাকে আন্দ্রে রাসেল বাজি মেরে গেলেন। দুওভার বোলিং করে মাত্র ১৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। প্যাট কামিন্স পেলেন দুটি উইকেট। কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে কুইন্টন ডি কক মুম্বইয়ের প্রথম একাদশে ফিরেছেন। কিন্তু প্রথম ম্যাচে হতাশ করলেন তিনি। রোহিত শর্মা ওপেনিংয়ে নেমে ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব সামলালেন। ৩২ বলে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন হিটম্যান। আলাদা করে বলার মতো সূর্য কুমার যাদবের ইনিংস। তিনি ৩৬ বলে ৫৬ রান না করলে মুম্বইয়ের রানের চাকা আরও আগে গর্তে পড়তে পারত। তবে এদিন সূর্য কুমারের একটি ছক্কা নিয়ে আলোচনা হল বেশি। তাঁর সেই বিশাল ছক্কা দেখে অনেকেই থ।
ডেথ ওভারে পান্ডিয়া ও পোলার্ডের উপর রান তোলার দায়িত্ব ছিল। কিন্তু রাসেলের দাপটে পোলার্ড ফিরলেন তাড়াতাড়ি। ১৫ রানের বেশি করতে পারলেন না পান্ডিয়া। কেকেআরের নীতিশ রানা দ্বিতীয় ম্যাচেও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন। পরপর দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করলেন রানা। এদিন তিনি ও শুভমান গিল মিলে কেকেআরের শুরুটা দারুন করলেন। প্রথম ১০ ওভারে দুজনে মিলে কেকেআরের ইনিংস টানলেন। কিন্তু এর পরই ছন্দপতন। শাকিব, মরগ্যান, রাহুল ত্রিপাঠিরা এলেন, আর ফিরলেন।
নীতিশ রানা, শুভমান গিল, ইয়ন মরগ্যান, রাহুল ত্রিপাঠিকে ফেরালেন চাহার। ১৪২ রানে শেষ কেকেআরের ইনিংস। প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচ ১০ রানে হারল কেকেআর।
অভি/ ১৩ এপ্রিল