দক্ষিণ এশিয়া

গরিব ও ক্ষুধার্ত বাংলাদেশিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে

কলকাতা, ১৩ এপ্রিল – ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চল থেকে গরিব বাংলাদেশিরা ঠিকমতো খেতে পাচ্ছে না বলেই ভারতে অনুপ্রবেশ করছে বলে দাবি করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শীর্ষ নেতা অমিত শাহ।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ বলেন, ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় সমস্যা অনুপ্রবেশ। এখানে যেভাবে রাজনৈতিক কায়েমি স্বার্থের কারণে প্রথমে কমিউনিস্ট এবং পরে তৃণমূল সরকার অনুপ্রবেশকে মদত দিয়েছে, তা নজিরবিহীন।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুপ্রবেশ সমস্যার সমাধান করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা শুধু রাজ্যের জন্য নয়, গোটা দেশের জন্য চিন্তার কারণ। ১০ বছর পর কলকাতার নাগরিকও অনুপ্রবেশ থেকে বাঁচতে পারবে না— বলেন অমিত শাহ।

আরও পড়ুন : পেরুতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে ২২ জন নিহত

তিনি বলেন, এখানে অনেকেই শরণার্থী হয়ে এসে বেআইনিভাবে বসবাস করছে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) মাধ্যমে তাদেরকে সম্মানজনকভাবে বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়। তাতে পশ্চিমবঙ্গের জীবনযাত্রারও অনেক পরিবর্তন হবে।

আনন্দবাজার পত্রিকা তার কাছে জানতে চায়, ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে; তারপরও কেন পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে?

জবাবে অমিত শাহ বলেন, এর দুটি কারণ। এক, বাংলাদেশের উন্নয়ন সীমান্ত এলাকায় নিচুতলায় পৌঁছায়নি। যে কোনো পিছিয়ে পড়া দেশে উন্নয়ন শুরু হয় কেন্দ্র থেকে। আর তার সুফল প্রথমে বড়লোকদের কাছে পৌঁছায়, গরিবদের কাছে নয়। বাংলাদেশে এখন সেই প্রক্রিয়া চলছে। ফলে গরিব মানুষ এখনো ক্ষুধার্ত। সে কারণেই অনুপ্রবেশ চলছে। আর যারা অনুপ্রবেশকারী, তারা শুধু পশ্চিমবঙ্গেই থাকছে, তা নয়। তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে, এমনকি জম্মু-কাশ্মির পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

দুই, তিনি মনে করেন, অনুপ্রবেশ একটি প্রশাসনিক সমস্যা। প্রশাসনিকভাবেই এর মোকাবিলা করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা করেনি।

সূত্র : সারাবাংলা
এন এ/ ১৩ এপ্রিল

Back to top button