পটুয়াখালী

পটুয়াখালীতে আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০ হাজার মানুষ

পটুয়াখালী, ২৫ অক্টোবর – ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালীতে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থায় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন ৩০ হাজার মানুষজন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার ২৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন ৩০ হাজার লোকজন। এছাড়া গলাচিপা, দশমিনা, বাউফল ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার ঝুকিপূর্ণ এলাকার লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু, বৃদ্ধ ও নারী।

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষের মাঝে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আরও যারা আছেন, তাদেরও আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শঙ্কর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, উপজেলায় ১৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এতে ১২ হাজরের অধিকার লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ও বিভিন্ন এনজিও তাদের মাঝে শুকনো খাবার ও পানি বিতরণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, ঝুকিপূর্ণ এলাকার লোকজন ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। আরও লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আনার চেষ্টা চলছে। এখানও আশ্রয়কেন্দ্রে ধারণক্ষমতা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাকি লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া গবাদিপশুকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দাদের সবশেষ অবস্থা জানতে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলার ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ও আমাদের পক্ষ থেকে তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আমি এবং ইউএনও বেশ কিছু আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। তাদের থাকা ও খাওয়ার কোনও সমস্যা নেই। ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাকি লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে কাজ করছে পুলিশ ।

তিনি আরও বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে গবাদিপশুকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, মানুষের জানমাল রক্ষা ও নিরাপত্তার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ২৬টি মুজিব কিল্লা খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার আট উপজেলায় ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ওষুধ ও মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আইএ/ ২৫ অক্টোবর ২০২২

Back to top button