৫টি কৌশলে শিখুন আত্ম-নিয়ন্ত্রণ
আত্মনিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরী। আমাদের আবেগ আমাদের ব্যাক্তিত্বের অংশ। আমরা যদি আবেগ লাগামহীনভাবে প্রকাশ করতে থাকি এবং এর ফলে অন্যকে বিব্রত হতে হয় তাহলে সেটা আমাদের ব্যক্তিত্বের উপরেই প্রভাব ফেলে। অন্যের কাছে আমাদের খারাপ ইম্প্রেশন তৈরি করে। তাই রাগ হোক বা দুঃখ অথবা হোক আনন্দ প্রকাশ হওয়া চাই নিয়ন্ত্রিত।
বড় আকৃতির ছবি দেখুন
গবেষণায় দেখা গেছে বিমূর্ত বা বৈশ্বিক বা উচ্চ চিন্তার ছবি মানুষের মাঝে আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়ায়। তাই বড় আকৃতির ছবি দেখুন, খুটিয়ে খুটিয়ে দেখুন। অবশ্য এটি আমরা অবচেতনমনে প্রায়ই করি। নিজের মনোযোগ সরাতে আমরা দেয়ালের ছবি বিশ্লেষন করতে শুরু করি।
পর্যাপ্ত ঘুম
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের অভাব মানুষকে অস্থির করে তোলে। মেজাজ খিটখিটে থাকে। তখন পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করতে ইচ্ছা করে না। রেগে গেলে আমরা চট করে রাগ প্রকাশ করে ফেলি। তাই পর্যাপ্ত ঘুমান। আপনার শরীরও ভাল থাকবে একই সাথে ভাল থাকবে মন-মেজাজ। নিয়ন্ত্রণ থাকবে আপনার হাতে।
কিছু উক্তি
সব সময় কিছু বিখ্যাত উক্তি চোখের সামনে রাখুন। যেমন- ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’। এই ধরনের উক্তি তাৎক্ষণিক শক্তি দেয় মনে, আত্মবিশ্বাসী করে। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ তার প্রিয় মহৎ ব্যক্তিত্বের দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়। তাই তাদের নির্দেশ, পরামর্শ, উপদেশবানী আত্মনিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ব্যায়াম
নিজের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ পেতে যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে উঠে সময় নিয়ে কিছু ব্যায়াম করুন। মন থাকবে শান্ত। সহজেই আপনি রেগে যাবেন না। এছাড়াও হাটাহাটি করা আত্মনিয়ন্ত্রণের মোক্ষম কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। যখনই রেগে যাবেন হাটতে শুরু করুন। ১০ মিনিট হাটলে রাগ নেমে যাবে।
মেডিটেশন
বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন রয়েছে। তার আবার আছে বিভিন্ন মাত্রা। আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ মেডিটেশন সেসনটি শুরু করতে পারেন। এতে আপনার মন একাগ্র হবে। নিজের আনন্দ, দুঃখ, রাগসহ সকল আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ধ্যানের নিয়মিত চর্চা এক সময় আপনাকে এমন একজন মানুষে পরিণত করবে যার ভেতরে থাকবে শান্তি। বাইরের পরিবেশ তাকে চাইলেও প্রভাবিত করতে পারবে না।
লিখেছেন- আফসানা সুমী
এম ইউ