ব্যক্তিত্ব

বয়স ৩০ এর মাঝেই আয়ত্ত করুন এই অভ্যাসগুলো

বয়স ৩০ যেন আজকের সময়ে বিশাল কিছু। বড় হয়ে যাওয়া, আবার বিজ্ঞাপনের প্রচারণা মতে বুড়িয়ে যাওয়া। তবে সারা পৃথিবী যাই বলুক, আপনি যখন নিজের প্রতি সচেতন তখন বয়সকে দিন মর্যাদা, তবে ভিন্নভাবে। নিজেকে তরুণ রাখতে, কর্মোদ্দীপনা ধরে রাখতে বা আকর্ষণীয় করতে অনেক কিছুই হয়ত আপনি করছেন, কিন্তু তার বেশীরভাগই বেলা শেষে হয়ে দাঁড়ায় অন্যের মন রাখার জন্য করা, অপরের কাছ থেকে স্তুতি পাওয়ার জন্য করা। নিজের জন্য কিছু করুন, এমন কিছু যা পরবর্তী জীবনে আপনার সৌন্দর্য্য ধরে রাখবে ভেতরে এবং বাইরে উভয় দিকে।

আসুন জেনে নিই, বয়স ৩০ হওয়ার আগেই কোন অভ্যাসগুলো আয়ত্তে আনা জরুরি।

সকালে ঘুম থেকে উঠুন
সকাল খুবই জরুরি। আপনার সারাদিনের কাজকে গুছিয়ে নিতে আপনাকে সকালে উঠতে হবে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর কাজ থাকে। নিজের চাকরি বা ব্যবসার কাজ করার পাশাপাশি আমরা সময় দিই পরিবারকে, সময় চাই নিজের জন্যেও। তাই দিনের প্রথম প্রহর থেকেই নিজের কাজ গুছিয়ে নেওয়া অভ্যাস করুন।

পছন্দমত ক্যারিয়ার বেছে নিন
প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ারের শুরুতেই নিজের পছন্দের কাজ গ্রহণের সুযোগ হয় না আমাদের অনেকেরই। কিন্তু বয়স ৩০ হওয়ার আগেই নিজেকে এমন একটি কাজে যুক্ত করুন যা আপনার মানসিক শান্তির সাথে জড়িত।

সঙ্গ
মানুষ তো একা থাকতে পারে না। পরিবার, প্রিয়জনদের পাশাপাশি আমাদের একটি বড় চাহিদা বন্ধুত্ব। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অনেকের সাথেই বন্ধুত্ব হয় আমাদের। অনেক আবার হারিয়ে যায় সময়ের সাথে সাথে। কিন্তু এখন সময় এমন একটি দল বন্ধু তৈরির যা আসলেই মূল্যবান। আপনার মতের সাথে যাদের থাকবে মিল, আবার নিস্বার্থ ভালবাসাও থাকবে শতভাগ।

খারাপ অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন
সময়মত না খাওয়া, অলসতা করা, ঠিক মত না ঘুমানো এমন অনেক বদ অভ্যাস আমাদের থাকে। কিন্তু পরবর্তী জীবনে সুস্থ্য থাকতে এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করা অতীব জরুরি।

সকালে নাস্তা করুন
বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে বলার পরও নাস্তা করার ব্যাপারটি আলাদা করে বলতেই হচ্ছে। এই একটি অভ্যাস আপনার নানান রকম শারীরিক অসুস্থ্যতাকে মোকাবেলা করতে পারে, আপনাকে রাখতে পারে ফিট। অপ্লতেই ক্লান্তি, অবসাদকেও মোকাবেলা করে সকালের পুষ্টিকর নাস্তা।

নিজের ভয়কে চিনুন
ভয় আমাদের এগিয়ে চলার পথকে দূর্গম করে। আমরা যদি স্পষ্ট জানতে এবং বুঝতে পারি আমাদের দূর্বলতাগুলো কি কি তাহলে আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি আমাদের অনেক সমস্যা। আমাদের মাঝে অনেকেই হয়ত কয়েকজন মানুষের সামনে কথা বলতে বললে ঘাবড়ে যাবেন! অনেকে হয়ত জানেন, কিন্তু মুখে বলতে আটকে যান। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করে এমন অগুণতি ভয়, যা আমাদের কাটিয়ে উঠতেই হবে। তাই ভয়গুলোকে চিনুন।

‘না’ বলতে শিখুন
‘না’ বলতে না পারা, অনুরোধে ডেকি গেলা জীবনকে অতীষ্ট করে দিতে পারে। অন্যের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করার সময় কিন্তু আর নেই। ৩০ এর পর আমাদের নিজেদেরই অনেক কাজ। তাই সরাসরি, কোথাও বা কৌশলে ‘না’ বলতে শিখুন।

বুঝে নিন কিসে আপনার আনন্দ
স্ট্রেসড অবস্থায় কি করলে ভাল লাগে আপনার? এক কাপ কফি খেতে? গান শুনতে? নাকি কোথাও বেড়াতে যেতে। খুঁজে নিন সেই পথ যা আপনার মনকে মুক্তি দেয়, শান্তি দেয়। বয়স ৩০ হওয়ার আগেই এক্সপেরিমেন্ট করে দেখুন, কোন কাজটি আপনার জন্য যথোপযুক্ত। জীবনের পথ আসলে একাই চলতে হয়। তাই, এই জানা আপনাকে একা সময়ে ভাল থাকার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

ক্ষমা চাওয়া বন্ধ করুন
অপরের কাছে নিজেকে হেয় করা বন্ধ করুন। হ্যাঁ, অন্যায় করলে ক্ষমা তো চাইতেই হবে। কিন্তু অতিরিক্ত ‘সরি’ আপনার ব্যক্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর। কোন ভুল করে থাকলে ঝটপট শুধরে নিতে চেষ্টা করুন। শিখুন এবং আবার করুন। ‘সরি’ বলে দায় এড়াবেন না যেন।

নিজেকে ভালবাসুন
আপনি ভাবছেন, নিজেকে তো আমরা ভালবাসিই। কিন্তু আপনি জানেন কি, সবচেয়ে বেশী অযত্ন করি আমরা নিজের। সবাই বলছে, স্লিম হলে দেখতে ভাল লাগবে। ডায়েট করে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন, স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট না করে তবুও শুধু স্লিম হওয়ার উদ্দেশ্যে ভুল ডায়েট করে যাচ্ছেন। পার্টিতে সুন্দর লাগতে হবে দেখতে। ত্বকের সৌন্দর্য্য বাড়াতে না জেনেই বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করে চলেছেন। পান করা দরকার প্রচুর পরিমাণে পানি। অথচ পান করছেন কোল্ড ড্রিকস! নিজের উপর যত অত্যাচার আমরা করি তাঁর হিসেব কষলে ভয় পাব আমরাই। নিজেকে ভালবাসতে শুরু করুন।

এম ইউ

Back to top button