ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তাগিদ দিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এছাড়া সিটি করপোরেশনের সেবার মান না বাড়ায় সরকারের সমালোচনাও করেছে কমিটি। দুটি সিটি করপোরেশনেই বিভিন্ন অনিয়ম চলছে বলেও অভিযোগ করেছে কমিটি।
আগামী ১০ অক্টোবর কমিটির পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৫০তম বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি মো. রহমত আলী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে কমিটির সদস্য স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, নূর-ই-আলম চৌধুরী, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আশরাফ আলী খান খসরু, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও আশরাফুন নেছা মোশারফ অংশ নেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. রহমত আলী নিজেই ডিসিসি নির্বাচন প্রসঙ্গ তোলেন। এ সময় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর কাছে ডিসিসি নির্বাচন বিষয়ে জানতে চান।
সূত্র জানায়, এ সময় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। তাছাড়া এ নির্বাচন নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এখানে সরকারের কিছুই করার নেই।
পরে মো. রহমত আলী বলেন, বিভিন্ন সময় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, যে দুই সিটি করপোরেশনে প্রশাসক থাকার পরেও বিভিন্ন কাজে অনিয়ম-দুর্নীতি চলছে। এসব বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান হওয়া উচিত। এ সময় কমিটির সকল সদস্য তার কথায় সমর্থন জানান বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, কমিটির বৈঠকে সিটি করপোরেশনের সেবার মান খারাপ হয়ে গেছে অভিযোগ করে কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, সেবার মান বাড়ানোর জন্যই দুটি সিটি করপোরেশন করা হয়েছিলো। কিন্তু সেবার মান বাড়েনি। তাহলে ভাগ করে কি লাভ হলো?
কমিটির সদস্যরা বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের চেয়ে প্রশাসকের সময়ে যদি সেবার মান না বাড়ে তাহলে প্রশাসক রেখে লাভ কি?
এ বিষয়ে আলোচনার পর কমিটির সকল সদস্য আগামী ১০ অক্টোবর কমিটির আগামী বৈঠকে দুই সিটি করপোরেশনের আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইনের কয়েকটি ধারা বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত ডিসিসি নির্বাচন স্থগিত করার জন্য একটি রিট আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। গত ২৩ জুলাই নির্বাচন স্থগিতের আদেশের মেয়াদ আরো তিন মাস বাড়ায় হাইকোর্ট।
গত ১২ আগস্ট ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে হাই কোর্টের আদেশ স্থগিতের আবেদন করে নির্বাচন কমিশন। সংক্ষিপ্ত শুনানি করে চেম্বার বিচারপতি আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন এবং আগামী ১১ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেন।