ঢাকা, ০১ সেপ্টেম্বর- মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। গত মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চ রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পরের দিনই সকাল ৭টায় মীর কাসেম আলীকে রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। রায় শুনে তিনি কিছুটা চিন্তিত ছিল। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে মীর কাসেম আলী সময় চান।
পরের দিন বুধবার দুপুর ২টার দিকে কাসেম আলীর পারিবারের ১০ সদস্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রবেশ করে মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘তিনি বলেছেন তার বড় ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাশেম একজন আইনজীবী। ২২ দিন আগে সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ব্যাপারে বড় ছেলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই পরামর্শের জন্য তাকে আগে ফেরত চান মীর কাশেম আলী।’
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি চাইবেন না সে বিষয়ে পরামর্শ করতে ছেলেকে চান মীর কাসেম আলী। এটা আর সবাই বিশ্বাস করলেও আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ যুদ্ধাপরাধ মামালায় জামায়াতের একাধিক নেতার ফাঁসি হলেও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন কেউই করেন নি। সে হিসাবে মীর কাসেম আলীর প্রাণভিক্ষার আবেদন করার কথা না। আর প্রাণভিক্ষার আবেদন করলেও রাষ্ট্রপতি একজন যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করতে পারেন না এবং করবেনও না।
এটা জানা সত্যেও ছেলের সঙ্গে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে আলোচনা সময় ক্ষেপন এবং ছেলেকে খুঁজে পাওয়ার একটা কৌশল বলেই আমার মনে হয়। তবে এটা বলা ভুল হবে না। যে একজন মৃত্যু পথযাত্রী বাবা তার হারানো ছেলেকে খুঁজে পাওয়ার আকুতি জানাতেই পারেন এবং মৃত্যুর আগে তার সঙ্গে দেখাও করতে চাইতে পারেন। তবে ছেলেকে খুঁজে পেতে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সঙ্গে কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। আর প্রাণ ভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে যদি কোন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শই করতে হয়, তাহলে তার ছেলের সঙ্গেই কেন? তার ছেলের চেয়ে বড় আইনজীবী বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বে কম নেই। তাহলে কি ছেলেকে খুঁজে পাওয়া এবং সময় ক্ষেপনই জামায়াত নেতার উদ্দেশ্য।
এফ/১৬:৫০/০১ সেপ্টেম্বর