কলকাতা, ১৮ আগষ্ট- ছোট পর্দায় আপাতত আর কোনো মেগা নয়, এবার মিশন বড় পর্দা। সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন জি বাংলার ‘ইষ্টিকুটুম’ মেগা সিরিয়ালের ‘বাহা’ ওরফে রণিতা দাস। বললেন, ‘মেগাতে অনেক চাপ। শুটিংয়ের ধকল অনেক। তা ছাড়া, বয়স বেড়ে গেলে আর স্বপ্ন পূরণ করা যাবে না। তাই এবার লক্ষ্য বড় পর্দা। টিভিতে ছোট কাজ, প্রোগ্রাম হোস্টজাতীয় কিছু অনুষ্ঠান করতে পারি, কিন্তু আমার স্বপ্ন এখন বড় পর্দা।’
বর্তমানে গ্রাজুয়েশন পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন রণিতা। পরীক্ষা মিটলেই ফের অভিনয় জগতে ফিরবেন। সে ক্ষেত্রে টার্গেট বড় পর্দা। তবে বড় পর্দায় কোন ছবিতে প্রথম মুখ দেখাতে চলেছেন, সে বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে চান না রণিতা। জানালেন, ‘পরীক্ষার ঝামেলা মিটে গেলেই নতুন করে কাজ শুরু করব।’
মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকে অভিনয় শুরু করেছেন। ‘ইষ্টি কুটুম’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘সোহাগী সিঁদুর’ মেগা ধারাবাহিক করার পরও ‘বাহা’ পরিচয়টা এখনো তাড়া করে বেড়ায় রণিতা দাসকে। কিন্ত ওই একটা পরিচয় নিয়েই থেমে থাকতে চান না রণিতা। জানিয়ে দিলেন, ‘আমি অনেক রকম চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। বর্তমানে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করছি আমি। ভবিষ্যতে সেটাকেও আমি আমার পেশার সঙ্গে যুক্ত করতে চাই।’
গ্র্যাজুয়েশন করার পর লেখাপড়ার পাটটাও চুকাতে চান রণিতা। যদিও বাড়ির লোক ও বয়ফ্রেন্ড সৌপ্তিক চক্রবর্তী চাইছেন, এমএ পড়ুক রণিতা। তবে পড়াশোনাকে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান না তিনি। তবে এখন পড়াশোনার জন্যই কাজ থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন। যে কারণে পর্দায় আর সেভাবে রণিতাকে দেখা না গেলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই দর্শকদের। আগামীতে বড় পর্দায় চমক নিয়ে আসতে চলেছেন তিনি।
তবে লেখাপড়া আর কাজের চাপের ভিড়ের মধ্যেও বিয়ের চিন্তাভাবনাকে একেবারেই কিন্ত সরিয়ে রাখেননি রণিতা। বললেন, ‘বিয়ের জন্য আমাদের কোনো চাপ নেই। কিন্তু, ঠিক করেই ফেলেছি, ২০১৭ তে না হলে ২০১৮ তে গিয়ে বিয়েটা করেই নেব।’
আর/১২:১৪/১৮ আগষ্ট