কলকাতা, ০৫ মে- মহারাজ, বাড়ির সবাই তাকে এ নামেই ডাকে। এখন শুধু বাড়ির লোকজনই নয়, বাংলার সবার কাছেই তিনি মহারাজ নামেই পরিচিত। ব্যাটে-বলে বিশ্বের কাছে বাংলাকে সম্মান এনে দেয়ার কারণেই মানুষ তাকে এ সম্মান দেয়। কিন্তু শুরুর দিকে এমনটা ছিল না, ভারতীয় ক্রিকেটের ময়দানে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই সৌরভ গাঙ্গুলী প্রায় ‘চাকর’ই বনে গিয়েছিলেন!
ইচ্ছাকৃতভাবে সৌরভের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ আনা হয়েছিল। অন্যকেউ হলে হয়তো আর কোনোদিনই জাতীয় দলে ফিরতেই পারতেন না। কিন্তু তিনি তো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই ফিরে এসেছিলেন। নেতৃত্বও দিয়েছেন দলের। দেশের হয়ে গড়েছেন অনেকগুলো রেকর্ডও।
অবশ্য অনেক আগেই তিনি ভারতীয় ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতেন। কিন্তু সৌরভকে অপেক্ষা করতে হয় অনেকগুলো বছর। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে রনজি ট্রফির পরই জাতীয় দলে ডাক পান সৌরভ। ১৯৯২ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন বাংলার মহারাজ। জাতীয় দলের অধিনায়ক তখন আজহারউদ্দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল সৌরভের। মাত্র তিন রান করে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছিল তাকে। যেটি ছিল সৌরভের জীবনে একটা অন্ধকারময় অধ্যায়।
সেই সফরই সৌরভকে বানিয়ে দিয়েছিল ‘চাকর’। দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে সতীর্থদের জন্য পানি বয়ে নিয়ে যেতে হতো তাকে। তাই তাকে ডাকা হতো ‘রামু’ নামে। এতে বেশ আপত্তিও ছিল সৌরভের। আর তাইতো বিমানে একটি চিরকুট লেখে পাঠান ম্যানেজার হিসেবে ভারতীয় দলের সঙ্গে থাকা রণবীর সিংহ মাহেন্দ্রকে। যেখানে লেখা ছিল- ‘জানেন, বাড়িতে আমার ডাকনাম মহারাজ। আর আপনার এখানে আমার ডাকনাম রামু (রামু মানে বাড়ির কাজের লোক)।’
আর/১৭:৩৪/০৫ মে