টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়া এড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নামতে যাচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে প্রথম লেগে আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে হেরে আসায় লক্ষ্য পূরণ মোটেও সহজ হবে না পেপ গুয়ার্দিওলার দলের জন্যে।
কঠিন এ পরীক্ষায় অবশ্য এবার ঘরের মাঠে প্রিয় সমর্থকদের সামনে খেলার সুবিধা পাবে বায়ার্ন। আগামী মঙ্গলবার আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটাই শুরু হবে ফিরতি পর্বের ম্যাচটি।
২০১৩ সালের জুনে তখনকার ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নে যোগ দেওয়ার পরের দুই মৌসুমে গুয়ার্দিওলা জার্মান ক্লাবটিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে তুললেও ফাইনালে ওঠা হয়নি। ২০১৩-১৪ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের পর গত মৌসুমে বার্সেলোনার কাছে হেরে যায় দলটি। এবার আবারও সামনে স্পেনের আরেকটি ক্লাব।
বার্সেলোনার হয়ে দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন গুয়ার্দিওলা যার শেষটি ২০১০-১১ মৌসুমে। কিন্তু বায়ার্নের হয়ে মহাদেশ সেরা হওয়ার স্বপ্নটা অপূর্ণই রয়ে গেছে স্পেনের এই কোচের। আগামী মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিতে যাওয়া গুয়ার্দিওলার জন্য বায়ার্নের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার এটাই শেষ সুযোগ।
গত সপ্তাহে আতলেতিকোর মাঠে ১-০ গোলে হেরে যাওয়ায় লক্ষ্যে পৌঁছতে তাই কঠিন লড়াই করতে হবে বায়ার্নকে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ছয় ম্যাচে কোনো গোল না খাওয়া আতলেতিকোর জমাট রক্ষণ ভাঙতে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে টমাস মুলার-রবের্ত লেভানদোভস্কিদের।
প্রথম লেগে হারায় নিজেরা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি বলেই বিশ্বাস গুয়ার্দিওলার।
“এটা এখনও শেষ হয়নি, আমাদের এখনও সুযোগ আছে। আমরা যদি হেরে যাই, আপনারা আমাকে খুন করতে পারেন, কিন্তু আমাদের এখনও সুযোগ আছে।"
আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ দিয়েগো সিমেওনেরও বিশ্বাস, ফাইনালে ওঠার লড়াই এখনও উন্মুক্ত।
“মিউনিখে খেলার অর্থ হলো, তারা সমর্থকদের সমর্থন পাবে। কিন্তু আমাদের একটা অ্যাওয়ে গোল করার সুযোগ আছে।”
নিজেদের রক্ষণ সামলে প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলা আতলেতিকো মঙ্গলবারের ম্যাচে একটি গোল করে ফেললে বায়ার্নের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। কারণ তখন তাদের কমপক্ষে দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ছন্দে থাকা ফের্নান্দো তরেস-অঁতোয়ান গ্রিজমানদের আটকে রাখাও সহজ হবে না স্বাগতিকদের রক্ষণভাগের জন্য।
পাঁচবারের ইউরোপ সেরা বায়ার্ন ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে আতলেতিকোকে হারিয়েই প্রথম শিরোপা জিতেছিল। ৪২ বছর আগের সেই ফাইনালে এগিয়ে থেকে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বসে স্পেনের ক্লাবটি। পরে ‘রিপ্লে’ ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বায়ার্ন। তারপর ২০১৩-১৪ মৌসুমে আবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জেতা হয়নি মাদ্রিদের ক্লাবটির।
গত বুধবার প্রথম লেগে জিতে চার দশক আগের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিলেও আতলেতিকোর পুরনো হিসাব মেটানো এখনও কিছুটা বাকি।
আর/১০:৩৪/০২ মে