মুম্বাই, ২৯ এপ্রিল- ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের বোলিংয়ে ঝড় তুলেছিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। ব্রডের এক ওভারে ছয়টি ছয় হাঁকিয়েছিলেন আক্রমণাত্মক এ ব্যাটসম্যান। সেদিন মাত্র ১২ বলে হাফসেঞ্চুরিরও দেখা পেয়েছিলেন যুবরাজ; যা এখনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড।
তবে কি কোনো কারণে ব্রডের উপর রেগে ছিলেন যুবরাজ সিং! কিন্তু না, রাগটা ছিলো মূলত ইংলিশ অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের উপরে। ব্রডের করা ১৯তম ওভারের ঠিক আগে ফ্লিনটফের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় যুবরাজের। ১৮তম ওভারে ফ্লিনটফের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ২টি বাউন্ডারি মেরেছিলেন যুবরাজ। তাতেই রেগে যান ফ্লিনটফ। ওভার শেষ হওয়ার পর এগিয়ে গিয়ে যুবরাজকে ‘স্লেজিং’ করেছিলেন ফ্লিনটফ।
প্রতিপক্ষের কথায় ক্ষেপে যান যুবরাজও। অনেকক্ষণ ধরে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তবে কী কথা হয়েছিল দুজনের মধ্যে? যুবরাজ সিং ও অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফকে অনেকবারই এ প্রশ্নটি করা হয়েছিল। দুজনের কেউই উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি! অবশেষে মুখ খুললেন যুবরাজ। দীর্ঘ নয় বছর পর জানা গেল সেদিন কী হয়েছিল তাদের মধ্যে। জানা গেল ব্রডকে মারা সেই ছয় ছক্কার রহস্যও।
পাঠকদের জন্যে কথোপকথনটি তুলে ধরা হল:
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ: (গালি দিয়ে) হাস্যকর শট ছিল ওগুলো।
যুবরাজ সিং: গালি।
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ: মাফ করবে আবার শুনি কি বললে!
যু্বরাজ সিং: আমি কি বলেছি সেটা ভালোভাবেই শুনেছ তুমি।
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ: আমি তোমার চোয়াল ভেঙে দেব।
যুবরাজ সিং: তুমি আমার হাতে এ ব্যাটটি দেখেছ.. তোমার ধারণাও নেই এই ব্যাট দিয়ে আমি তোমার বল কোথায় পাঠাতে পারি?
মূলত, ফ্লিনটফের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হওয়ার পর ক্ষেপে যান যুবরাজ সিং। পরের ওভারে নিজের রাগ কমান ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে। বিষয়টি নিয়ে যুবরাজ সিং বললেন, 'খেলার মাঠে স্লেজিং হতেই পারে। এটা খেলার অংশ। তবে খেলার বাইরে আমরা সবাই বন্ধু। তবে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। সেদিন যেটা হয়েছিল সেটা আমি তাকে ব্যাট দিয়ে মাঠেই জবাব দিয়েছিলাম।'
ব্রডের ওভারে ছয়টি ছয় মারার পর শেষ ওভারে ফ্লিনটফের ওভারে আরেকটি বল হাওয়ায় ভাসিয়ে বাউন্ডারি বাইরে পাঠান যুবরাজ। কিন্তু ঠিক তার পরের বলে সেই ফ্লিনটফের বলেই আউট হন যুবরাজ!
ছয় ছক্কার সেই ভিডিও
আর/১৭:৩৪/২৯ এপ্রিল