ওহিও, ১৩ মার্চ- শিকাগোতে বিশৃঙ্খল প্রতিবাদকারীদের তৎপরতায় সমাবেশ ভুণ্ডুল হওয়ার একদিন পর ওহিওতেও যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির এগিয়ে থাকা প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে বিঘ্ন ঘটিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা।
শনিবার ওহিওর ডেটন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনার সময় ট্রাম্পকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা বক্তৃতা মঞ্চে উঠে ট্রাম্পকে ঘিরে রাখেন।
এক প্রতিবাদকারী আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলে ট্রাম্প কিছুক্ষণের জন্য ডায়াসের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন, এ সময় সিক্রেট সার্ভিসের চার এজেন্ট তড়িঘড়ি করে ট্রাম্পকে ঘিরে দাঁড়িয়ে যান।
মঞ্চে পৌঁছানোর আগেই সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা কালো টি-শার্ট ও জিন্স পরা ওই প্রতিবাদকারীকে ঝাঁপটে ধরে সমাবেশস্থল থেকে সরিয়ে নেন।
দিনের পরবর্তী সময়ে এক সমাবেশে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, “আমি প্রস্তত ছিলাম। আমি ভালো করতে পারতাম কিনা জানি না, তবে সেখানে মারামারির জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম, উপস্থিতগণ।”
মঞ্চের দিকে তেড়ে যাওয়া প্রতিবাদকারী তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছিল বলে দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার শিকাগোতে ট্রাম্পের অপর একটি সমাবেশ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে বাতিল হয়ে যাওয়ার পর ওহিওর এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচারণাকে ঘিরে উত্তেজনা আরো বেড়ে গেছে।
ট্রাম্পের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিউ ইয়র্কের এই ধনকুবেরের ব্যাপারে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের উত্তপ্ত বাক্যবাণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিযোগীতার পরিবেশ শঙ্কায় ছেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
শিকাগোর ঘটনার জন্য ডেমোক্রেট দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বের্নি স্যান্ডার্সের সমর্থকদের দায়ি করেছেন ট্রাম্প। ভারমন্টের সিনেটর স্যান্ডার্সকে ‘আমাদের কমিউনিস্ট বন্ধু’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প।
শিকাগোর ঘটনার আগে ট্রাম্পের সমাবেশকে ঘিরে বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার কোনো কোনোটিতে প্রতিবাদকারী ও সাংবাদিকদের ঘুষি মারা হয়েছে, টেনে হিঁচড়ে হেনেস্তা করে সমাবেশস্থলের বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এতে আগামী ৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এন/১২:৪১/১৩ মার্চ