ঢাকা, ০৯ ফেব্রুয়ারী- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করার অভিযোগে সংসদ সদস্য এম এ লতিফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) বহুল আলোচিত ৫৭ ধারায় দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে মামলা দু’টি দায়ের করা হয়। তবে মামলা দুইটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন আদালত।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার বাদি হলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম বেলায়েত হোসেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অপরাধে লতিফের বিরুদ্ধে আরও দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষে চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম এ লতিফের নামে নগরীর টাইগারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানের রাস্তার দু’পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত পোস্টার লাগানো হয়। এসব পোস্টারে ফটোশপের মাধ্যমে এম এ লতিফের শরীরের ওপর বঙ্গবন্ধুর মুখ লাগানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সব পোস্টারের নিচে এম এ লতিফের উদ্ধৃতি ছিল।
এ ঘটনায় জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে আসা বিতর্কিত এই এমপির প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করছেন দলীয় নেতারা। পাকিস্তানি বেশ-ভূষায় বঙ্গবন্ধুর এসব প্রতিকৃতি নিয়ে নগরীতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের রাজনীতি। প্রতিদিনই ছাত্রলীগ-যুবলীগের পক্ষ থেকে ছবি বিকৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মানহানি মামলাটি করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি।
এ ঘটনায় এর আগে তিনি ছবি বিকৃতির বিষয়টি স্বীকার করলেও নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন। সে সময় তিনি বলেন, ‘যাদের তিনি পোস্টার তৈরি করতে দিয়েছিলেন, তারাই হয়তো দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবং তাকে বিপদে ফেলতে এমন কাজ করেছে।’