কাবুল, ০৬ ফেব্রুয়ারী- ছেলেটির নাম ওয়াসিল আহম্মেদ, বয়স ১১। যে কিনা এই বয়সেই তালিবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়ে বীরের মর্যাদা পেয়েছিল। গত সপ্তাহে তালিবান জঙ্গিদের গুলিতে থেমে যায় আফগানিস্তানের সেই বীরের হৃৎস্পন্দন।
আফগান কর্তৃপক্ষ সিএনএনকে জানিয়েছে, তালিবান-অধ্যূষিত তিরিন কট শহরের বাসিন্দা মোল্লা আব্দুল সামাদ ওয়াসিল আহম্মেদের চাচা। বছর চারেক আগে তালিবান সঙ্গ ছেড়ে আফগান সরকারের হয়ে তালিবান-বিরোধী লড়াইয়ে যোগ দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ওয়াসিলের বাবাও ছিলেন।
এরপর খাস ওরুজগান জেলার স্থানীয় পুলিশকর্মীদের নিয়ে তৈরি ৭০ জনের একটি বাহিনীর কম্যান্ডার হিসাবে ওয়াসিলের কাকাকে নিযুক্ত করা হয়। এসময় তালিবান জঙ্গি হানায় ওয়াসিলের বাবা-সহ ১৮ জন সেনার মৃত্যু হয়।এমনকি গত বছর অগস্ট মাসে তালিবান হামলায় ওয়াসিলের কাকা সামাদও গুরুতর জখম হন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, তালিবান হামলায় যখন সরকারি বাহিনী কোণঠাসা, তখন বাহিনীর নেতা হিসেবে বন্দুক হাতে তুলে নেয় এই ছোট্ট ওয়াসিল। এসময় টানা চুয়াল্লিশ দিন তালিবানের সঙ্গে মোকাবিলা করে ছোট্ট ওয়াসিল আর তার বাহিনী। এমনকি খুদে ওয়াসিল জঙ্গিদের খতম করতে রকেটও ছোঁড়ে। শেষ পর্যন্ত ছোট্ট ওয়াসিলের বাহিনীর কাছে হার মানে তালিবানি জঙ্গিরা। গোটা এলাকা তালিবান-দখলমুক্ত হয়।
এর পরে আফগান সেনা এবং ন্যাটো বাহিনীর সৈন্যরা ওয়াসিল, তার কাকা সামাদ এবং তাদের বাহিনীকে বীরের মর্যাদা দিয়ে তিরিন কট শহরে নিয়ে আসে। এসময় সৈনিকের পোশাক পরিয়ে, ফুলের মালা দিয়ে গোটা শহরের সামনে আফগান পুলিশের পক্ষ থেকে ছোট্ট ওয়াসিলকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য,সম্প্রতি ওয়াসিল স্থানীয় একটি স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। মূলত বেসামরিক জীবনে ফিরে আসার পরই সে আফগান জঙ্গীদের গুলিতে নিহত হয়।