নিউ হাম্পশায়ার, ০৩ ফেব্রুয়ারী- মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান প্রার্থীরা এবার আসছেন নিউ হাম্পশায়ারে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে এই অঙ্গরাজ্যে। এখানেই হবে তাদের পরবর্তী পরীক্ষা।
সোমবার সন্ধ্যায় আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপ। ওই অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দলের সমর্থকরা চূড়ান্ত দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোটে অংশ নেন। সোমবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবং রিপাবলিকান দল থেকে সিনেটর টেড ক্রুজ বিজয়ী হয়েছেন। হিলারি ক্লিনটন ৪৯.৯ ভাগ এবং বার্নি স্যান্ডার্স ৪৯.৬ ভাগ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে টেড ক্রুজ ২৭.৬ ভাগ এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ২৪.৩ ভাগ ভোট।
নিউ হ্যাম্পশায়ারে দু দলের প্রার্থীদেরকে ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকোবেলা করতে হবে। এই রাজ্যটিতে উদারপন্থিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই ৯ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী টেড ক্রুজের জয়লাভ করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। পক্ষান্তরে আলোচিত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এখানে ভালো করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও আইওয়াতে তিনি হেরে গেছেন। অন্যদিকে এ রাজ্যটিতে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা এর পার্শ্ববর্তী ভেরমন্ত রাজ্যের সিনেটর তিনি।
ইউনিভার্সিটি অব নিউ হ্যাম্পশায়ারের নেওয়া একটি সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, এখানে হিলারি ও বার্নি স্যান্ডার্সের প্রায় সমান জনসমর্থন রয়েছে। একই জনমত গণনা অনুসারে, নিউ হ্যাম্পশায়ারের ভোটারদের কাছে স্যান্ডার্স এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী। হিলারির পক্ষে সেখানে জনসমর্থন ৫৪ শতাংশ, বার্নি স্যান্ডার্সের ৫৯ শতাংশ।
তবে আইওয়ায় জয়লাভের পর ফুরফুরে মেজাজে আছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নিউ হ্যাম্পশায়ারে নিজের জয় নিয়েও আশাবাদী হিলারি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,‘আইওয়ায় জয়লাভ করে আমি এখানে আসছি। এ নিয়ে আমি ভীষণভাবে গর্বিত।’