ঢাকা, ০৩ ফেব্রুয়ারী- সএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ফেসবুক মনিটর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সাজেশন বা প্রশ্ন যাই হোক- সেই আপলোডকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা হরতাল ঘোষণায় দ্বিতীয় দফা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফেসবুক মনিটর করার কথা জানান নাহিদ।
প্রাক্তন আইসিটি বিভাগের সচিব বর্তমানে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খানকে পাশে রেখে মন্ত্রী বলেন, সচিব মহোদয় বিশেষজ্ঞ, তিনি উদ্যোগী হয়ে যা যা করা দরকার করছেন।
সর্বশেষ অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সমাপনী এবং জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠে।
এ প্রসঙ্গ শিক্ষামন্ত্রী জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে কাজ করছি, আইসিটির লোকজনকে নিয়ে সভা করেছি। আমরা সবগুলো ডাউনলোড করেছি, চিহ্নিত করছি, এখন মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তবে ফেসবুকে আপলোড করা কনটেন্টগুলোর সঙ্গে প্রশ্নের কোনো মিল না থাকার দাবি করে মন্ত্রী বলেন, আমরাও পড়ে দেখছি, এগুলো সিলেবাস বা ক্লাসের সঙ্গে মিল নেই। সাজেশন হয়েছে সেভাবে, যে দিচ্ছে সে ছবি দিচ্ছে, ফোন নম্বর হয়তো ভুল দিচ্ছে। এগুলোর উদ্দেশ্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা। সাধারণ মানুষের ফেসবুকের ধারণা নেই। ফেসবুক কী জিনিস আর জিজ্ঞেস করে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞ দিয়ে ফাইট করছি, কন্ট্রোলরুম মনিটর করছে। অসংখ্য প্রশ্ন, সবই দেখা গেছে এটার সঙ্গে মিল নেই। প্রশ্নপত্র দেখার কোনো সুযোগ নেই। ক্লাস-সাবজেক্টের সঙ্গে মিল নেই।
সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অবরোধের মধ্যে হরতালের কারণে প্রথম দিনের পরীক্ষা ৬ ফেব্রুয়ারি ও ৪ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা ৭ ফেব্রুয়ারি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি মাননীয় খালেদা জিয়ার সহযোগিতা চাচ্ছি। তিনি ইন্সস্ট্রাকশন দেবেন যেন ছেলে-মেয়েরা ভালোমত পরীক্ষা দিতে পারে। খালেদা জিয়া বলবেন, যে যেখানে আছ আমার দল ও ফ্রন্টের, তোমরা সহযোগিতা করো।
এ আশা তিনি রাখবেন জানিয়ে নাহিদ আরও বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) এ আহবান জানাবেন যে- পরীক্ষার দুইদিন তোমরা বিরক্ত করো না, আর বাকি দিনগুলোতও তোমরা পরীক্ষা দিতে দাও।
আমি সে আশায় আছি। আগে মনে আসেনি, এখন হয়তো আসবে।
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দুই মেয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মালয়েশিয়া চলে যাওয়ায় খুশি শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, তার ছেলে-মেয়েরা চলে গেছে পরীক্ষার জন্য, এতে আমরা খুবই খুশি হয়েছি, তারা পরীক্ষা দিক। অন্যের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য যদি মনে এই জাগরণটা আসে। আমি আশা করি, ১৫ লাখ ছেলে-মেয়ের জন্য এই চিন্তাটা আসতে পারে। আমরা তো যুদ্ধে যাচ্ছি না। আমরা খালেদা জিয়া এবং ২০ দলের সহযোগিতা চাই।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ যতো রাজনৈতিক দল আছেন, সামাজিক দল আছেন, সংস্থা আছেন, মিডিয়া আছেন- সকলে মিলে সহযোগিতা করবেন, আশা করেন শিক্ষামন্ত্রী।