জয়পুরহাট, ৯ মে- ঢাকার মিরপুর থেকে চাঞ্চল্যকর সূবর্ণা অপহরণ ঘটনার ৩ মাস পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার জয়পুরহাট পৌর এলাকার আদর্শপাড়া মহল্লায় সূবর্ণার স্বামী আলী হাসান পলাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটনট পুলিশের (ডিএমপি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মুক্তা ধরের নেতৃত্বে সূবর্ণার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সূবর্ণা ঢাকার মিরপুর-১২ এর মৃত. হান্নান শেখের মেয়ে ও জয়পুরহাট আদর্শ পাড়ার আলী হাসান পলাশের স্ত্রী ছিলেন।
ডিএমপির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মুক্তা ধর মামলার বরাত দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, সাভারের জিরাবো এলাকায় কর্মরত ইনসেপটা ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি আলী হাসান পলাশের প্রায় ১৬ মাস আগে সূবর্ণার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ২৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে। কিন্তু টাকা দিতে অসমর্থ্য হওয়ায় প্রায়ই মারধর করা হতো সূবর্ণাকে।
গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকার পীরেরবাগ ৭৫/১ বাড়ি থেকে জয়পুরহাটে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসার কথা বলে পলাশ সূবর্ণাকে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে সূবর্ণা নিখোঁজ রয়েছেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুর মডেল থানায় ৯ জনকে আসামি করে সূবর্ণার মা সালমা বেগম সাহানা একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ ওই মামলার আসামি শিউলি বেগম, ইউনুস আলী বকুল, রহিমা বেগম ও আরমান আলীকে গ্রেফতার করলে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার স্বামীর বাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে সূবর্ণার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মুক্তা ধর আরো জানান, দুপুরে সূবর্ণার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।