বেলুচিস্তান, ২৫ জানুয়ারি- পাকিস্তানে মুহাম্মাদ আসগর নামক ৬৫ বছর বয়স্ক এক ব্রিটিশ নবুয়ত দাবি করায় ধর্ম অবমাননা আইনে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালত। করা হয়েছে জরিমানাও।
বিবিসি জানায়, আসগর নিজেকে নবী দাবি করে নানাজনকে চিঠি লেখার পর পাকিস্তানের পুলিশ ২০১০ সালে তাকে গ্রেফতার করে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা গেছে।
আসগরের আইনজীবী তার মক্কেলের মানসিক সমস্যা আছে বলে যুক্তি দেখালেও চিকিৎসক প্যানেল তা নাকচ করেছে।
পাকিস্তানের ব্ল্যাসফেমি আইনে কোনো ব্যক্তি লিখিত কিংবা মৌখিকভাবে মহানবী (সাঃ) কে অবমাননা, ব্যঙ্গ বা কৌশলে কটাক্ষ করলে তার মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তি হওয়ার বিধান আছে।
তবে সম্প্রতি পাকিস্তানে কয়েকটি মামলায় আইনটির প্রয়োগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
স্কটল্যান্ডের এডিনবরা থেকে আসা আসগর কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানে বসবাস করছেন বলে ধারণা করা হয়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজেকে নবী দাবি করে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি লিখেছেন। এমনকি আদালতেও আসগর নিজেকে নবী দাবি করেন এবং স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছেন সরকারি এক কৌঁসুলি।
তবে আসগরের আইনজীবী বলছেন, তাকে জোর করে মামলা থেকে সরিয়ে দিয়ে রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচারকাজ পরিচালনা করা হয়। তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
আসগর প্যারানোইয়া ধরনের সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছেন এবং এডিনবরার রয়াল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন বলে শোনা গেছে। তবে পাকিস্তানের আদালত যুক্তরাজ্য থেকে তার ডাক্তারি প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি বলে জানানো হয়েছে খবরে।