ঢাকা, ১২ জানুয়ারি- আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ২২টি স্পেশাল ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এ সার্ভিস আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে মোনাজাতের পরদিন ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম পর্বে এবং ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বে চলবে।
নিরাপদে মুসল্লিদের আশা-যাওয়ার জন্য অগ্রিম টিকেটধারী যাত্রীদের টঙ্গী স্টেশন থেকে ট্রেনে আরোহণের সুবিধার্থে আখের-ই-মোতাজাতের পরদিন ২৭ জানুয়ারি ৭২৬ সুন্দরবন,৭০৯ পারাবাত, ৭১২ উপকূল, ৭৩৭ এগারসিন্ধু, ৭০৫ একতা, ৭৩৫ অগ্নিবীণা, ৭৬৫ নীলসাগর, ৭১৭ জয়ন্তিকা, ৭৫৩ সিল্কসিটি, ৭৬৯ ধুমকেতু, ৭৭১ রংপুর এক্সপ্রেস ও ৭২২ মহানগর গোধুলী এক্সপ্রেস টঙ্গী স্টেশনে ২ মিনিট করে বিরতি রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে গত ৯ জানুয়ারি রেল ভবনে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা কৌশলপত্র নির্ধারণ বিষয়ক এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২২টি স্পেশাল ট্রেনের মধ্যে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে জামালপুর-টঙ্গী ১টি ও আখাউড়া-টঙ্গী ১টি এবং ২৫ জানুয়ারি লাকসাম-টঙ্গী ১টি স্পেশাল ট্রেন চলবে।
এছাড়া ২৬ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের দিন ঢাকা-টঙ্গী স্পেশাল ৭টি, টঙ্গী-ঢাকা স্পেশাল ৭টি, টঙ্গী-লাকসাম স্পেশাল ১টি, টঙ্গী-আখউড়া স্পেশাল ২টি, টঙ্গী-ময়মনসিংহ স্পেশাল ৪টি, টঙ্গী-ঈশ্বরদী স্পেশাল ১টি ট্রেন চলবে।
যাত্রীদের টিকেট সংগ্রহের সুবিধার্থে অতিরিক্ত ৮টি টিকেট কাউন্টার বৃদ্ধিসহ ভ্রাম্যমাণ টিকেট বিক্রেতা নিয়োগ, ইজতেমা চলাকালীন সময়ে ময়মনসিংহ, আখাউড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত সার্বক্ষণিক রেলওয়ে ট্যাক পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা জোরদার করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. আবু তাহের বাংলামেইলকে বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার তিনদিন আগে থেকে সব ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মুসল্লিদের জন্য টঙ্গী স্টেশনে স্থায়ী টয়লেট ছাড়াও অস্থায়ী ৪০টি অযুখানা ও ২৫টি প্রস্রাবখানা নির্মাণ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গত বছর একসঙ্গে ২০ জন মুসল্লির অযু করার ব্যবস্থা ছিল। সেখানে এ বছর এক সঙ্গে ৪০ জন মুসল্লির অযুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এছাড়া ইজতেমা আসা মুসল্লিদের জন্য টঙ্গী স্টেশনে ৩০টি টয়লেট, ৬০ জনের বিশ্রামের জন্য অস্থায়ী বিশ্রামাঘার, ৬০ জন মুসল্লির নামাজের জন্য অস্থায়ী নামাজ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সার্বক্ষণিক ডাক্তার সহযোগে মুসল্লিদের জন্য একটি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও আবু তাহের জানান।