ওয়াশিংটন, ১ জানুয়ারি: চিকিৎসাবিজ্ঞানে ২০১১ সালের অসামান্য উদ্ভাবনাগুলো বিজ্ঞানীদের আশাবাদী করে তুলেছে। আমেরিকান নাগরিক ডালাস ওয়েন্সের হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট, মাথায় গুলি ঢুকে যাবার পরও আরিজোনার কনগ্রেসম্যান গ্যাব্রিয়েল গিফোর্ডস বেঁচে যান। এসব প্রসঙ্গ ২০১০ সালের ঘটনা।বিজ্ঞানীরা বলছেন, চিকিৎসা খাতে আরো চমক অপেক্ষঅ করছে ২০১১ সালে।
২০১১ সালে তারা এইচআইভি রোগীর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকিও বেশ খানিকটা কমিয়ে আনতে পেরেছেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অভাবনীয় এসব অগ্রগতি বিজ্ঞানীদেরও আশান্বিত করেছে। তারা নতুন বছরে চিকিৎসা বিজ্ঞানে সম্ভাব্য পাঁচটি বিশেষ আবিষ্কারের টার্গেট নিয়ে এগুচ্ছেন।
ক্যান্সারের কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার
ক্যান্সারের চিকিৎসায় এক সময় রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির ব্যাপক প্রয়োগ ছিল। কিন্তু গত দুই দশক ধরে চিকিৎসকরা থেরাপিউটিক ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে আসছেন।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ২০১২ সালেই তারা ক্যান্সারের কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করতে সক্ষম হবেন।
টেক্সাস ইউনিভার্সিটির এন্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারের গবেষক ড. ল্যারি কোয়াক বলেন “আশা করছি ক্যান্সারের কার্যকর ভ্যাকসিনের দেখা ২০১২ সালেই পেয়ে যাবো।”
আরো উন্নত ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য মতে, ২০১০ সালে বিশ্বে ২১ কোটি ৬০ লাখ লোক ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা গত ২০ ডিসেম্বর নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে দাবি করেছেন, ২০১২ সালেই তারা প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়ার অধিকতর নির্ভরযোগ্য ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করতে পারবেন।
কিছু মূল্যবান ওষুধের দাম কমবে
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, কিছু মূল্যবান ওষুধ তৈরি প্রক্রিয়া আরো বেশি উন্নত হয়ে যাবার কারণে ২০১২ সালে বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু দামি ওষুধের দাম স্বাভাবিক নিয়মে কমে যাবে।
স্বাস্থ্যবীমার জটিলতা কমে যাবে
বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যবীমা একটি জটিল ব্যাপার। এটা বেশির ভাগ সময় আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, বেশ কিছু রোগ আরো সহজে নিরাময়যোগ্য হয়ে যাবার কারণে ২০১২ সালে উন্নত বিশ্বে স্বাস্থ্যবীমার মতো জটিল ইস্যুটি বেশ সহজ হয়ে যাবে।