মুম্বই, ০৮ ডিসেম্বর- স্ত্রীকে 'ভাড়া' খাটিয়ে দেড় লক্ষ টাকা রোজগারের ধান্দা করেছিল স্বামী। কিন্তু, 'বদমাইশ খদ্দেররা' সব পণ্ড করে দেওয়ায় হাজতে গেল সে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত স্বামী ইসার আলি লস্কর (২৬) আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাড়াতাড়ি বড়লোক হবে, এই ছিল তার বাসনা। সেই বাসনা থেকেই স্ত্রীকে অন্য পুরুষের কাছে 'ভাড়া' দিয়ে টাকা রোজগারের ফিকির আঁটে সে। কিন্তু, ২৩ বছর বয়সী স্ত্রীকে ঘুণাক্ষরেও কিছু জানায়নি। গত ২৮ নভেম্বর মুম্বইয়ে চারজনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। ঠিক হয়, এক রাতের জন্য স্ত্রীকে 'ভাড়া' দেবে। বিনিময়ে নগদ দেড় লক্ষ টাকা পাবে। অথচ স্ত্রীকে জানায়, সে কাজের খোঁজে মুম্বই যাচ্ছে। মুম্বইয়ে একা থাকতে অসুবিধা হবে বলায় স্বাভাবিকভাবে তার স্ত্রীও সঙ্গে যেতে মনস্থির করে।
৩০ নভেম্বর তারা মুম্বইয়ের উপকণ্ঠে মানখুর্দ রেলস্টেশনে এসে নামে। সেখানে অপেক্ষা করছিল মোবিন কুরেশি (৪০), সাজিদ কুরেশি (২৪), নিজাম খান (২৫) এবং সুজিত চৌরাসিয়া (৪৩)। স্ত্রীকে ইসার বলে, এরা সবাই তার বন্ধু। মুম্বইতে বাড়ি খুঁজে দিতে সাহায্য করবে। অভয় দিয়ে নিজের স্ত্রীকে অটোতে বসিয়ে কিছু 'দরকারি জিনিস' কিনতে যায় ইসার। এবার হয় চোরের ওপর বাটপারি! ওই মহিলাকে নিয়ে চারজন তীব্র বেগে অটো ছুটিয়ে চম্পট দেয়। জাকির হুসেন নগরে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সারা রাত ধরে ওই চারজন ধর্ষণ করে মহিলাটিকে।
এদিকে, স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে সওদার টাকা হাত ছাড়া হয়ে গেল দেখে ইসার সোজা যায় থানায়। পুলিশকে গিয়ে বলে, চারজন অচেনা লোক তার স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। ইসারকে সঙ্গে নিয়ে রাতেই অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পয়লা ডিসেম্বর সকালে ওই মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এবার ওই চারজনকে পাকড়াও করতে তারা পুলিশকে বলে, ইসারই স্ত্রীকে 'ভাড়া' খাটিয়ে তাদের থেকে দেড় লক্ষ টাকা চেয়েছিল। পুলিশি জেরার মুখে এবার সব স্বীকার করে ইসার। পাশাপাশি, মহিলার জবানবন্দি নেওয়া হয়। ইসার আলি লস্কর ছাড়াও বাকি চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
মানখুর্দ থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর এস জি রাজপুত বলেন, "ওই মহিলা স্বামীর ওপর সরল বিশ্বাসে মুম্বই এসেছিলেন। কিন্তু, এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। শারীরিক অবস্থাও ভালো নয়।