ঢাকা, ০৬ ডিসেম্বর- বিরোধী দলের হরতালে গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু।
রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে আওয়ামী লীগের হরতাল পালনের কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা ১৭০ দিন হরতাল করেছি। আমরা হরতাল করেছি ঠিকই, কিন্তু একজন মানুষকেও গানপাউডার দিয়ে পুড়িয়ে মারিনি।”
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের হরতাল-অবরোধের চিত্র তুলে ধরে বৃহস্পতিবার ১৪ দলের এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘সর্বদলীয়’ সরকার গঠন করে নির্বাচনের পথে অটল রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, ওই সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন আমু।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে ১৪ দলের বৈঠকে আলোচনা হয়। এতে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও তরীকত ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নামের তালিকা জমা দেয়া হয়।
১৪ দলের বৈঠকে জোটবদ্ধভাবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ৭ ডিসেম্বর আবার আলোচনা হবে বলে জানান আমু।
“আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা করেছি। তরীকত ফেডারেশনসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী দল আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে।”
১৮ দলের আন্দোলনে জনগণের সমর্থন নেই দাবি করে আমু বলেন, “আজ অবরোধ শেষ হওয়ার পরে রাজধানীর চিত্র দেখে বোঝা যায়, তাদের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। তারা মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে রেখেছিল।”
জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্য কোনো ইসলামী দল বিএনপির সঙ্গে নেই দাবি করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “হেফাজতের মধ্যেও দ্বন্দ্ব চলছে।“
নির্বাচন থেকে জাতীয় পার্টির সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে আমু বলেন, “জাতীয় পার্টির অবস্থান একেক দিন একেক রকম। তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে আরো কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।”
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে ১৪ দলের বৈঠকে ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শরিফ নুরুল আম্বিয়া, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী অংশ নেন।