ওয়াশিংটন, ০২ নভেম্বর - যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্বে ২০১৮ সালে সন্ত্রাসবাদ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। মূলত জাতিগত ও ধর্মীয় মতপার্থক্য এবং বর্ণবাদী অসহিষ্ণুতার ফলে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে। ধর্মের নামে মূলত ইসলামের নামে মানুষকে এসব সহিংস আচরণে উদ্বুদ্ধ করে তাদের নিয়োগ দিচ্ছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার মন্ত্রণালয়টি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের হালহকিকত নিয়ে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে তা থেকেই এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বিভাগেরর সমন্বয়কারী নাথান সেলস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদের মতো জাতি ও বর্ণগত বিদ্বেষ, শ্রেষ্ঠত্ববাদ ও পরমত অসহিষ্ণুতা ইত্যাদির কারণে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে পিটসবার্গের একটি সিনাগগে একজন বন্দুকধারীর হামলায় ১১ জন নিরাপরাধ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনাটি প্রমাণ করে যে, গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ কীভাবে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এই প্রবণতা বাড়তে থাকলে গোটা পৃথিবী হুমকির মুখে পড়বে।
ইসলাম ধর্মের কথা বলে গোটা বিশ্বে যেসব সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে তাদের দ্বারা শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী এবং ধর্মীয় ভাবধারায় থেকে সৃষ্ট অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের কৌশলে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বিভাগের ওই সমন্বয়কারী এর প্রেক্ষিতে বলেন, ‘আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চাই, সেটা তারা যে ধর্মের ভাবাদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই করুক না কেন, কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’
সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ০২ নভেম্বর