ঢাকা, ২৮ অক্টোবর- সাভারের আশুলিয়ায় দোকান ভাঙচুর করে ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুট ও মার্কেট দখল করার অভিযোগে যুবলীগ নেতা মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোররাতে আশুলিয়া থানায় এম এ খান মার্কেটের মালিক আলমগীর খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও ধামসোনা ইউপির ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে মাকসুদা বেগম নামে এক নারীর মালিকানাধীন মার্কেট দখলের অভিযোগে যুবলীগ নেতা মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়াকে আটক করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাইপাইল এলাকায় ৩৯ শতাংশ জমি ক্রয় করে এম এ খান নামে একটি মার্কেট তৈরি করে কাঁচা-পাকা মালের আড়ৎ হিসেবে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন জমির মালিক আলমগীর খান। গত কয়েক মাস যাবৎ ওই যুবলীগ নেতা তার লোকজন নিয়ে ওই মার্কেট দখল করার পাঁয়তারা করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে মার্কেটের আড়ৎদারদের মারধর করে তাদের মালামাল লুটপাটও করে।
এক পর্যায়ে গত (৬ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার ওই যুবলীগ নেতা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাহিনী নিয়ে এসে ওই মার্কেটে হামলা চালায়। এ সময় বিভিন্ন আড়ৎদারদের মারধর করে ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামল লুটপাট করে। পরে এ ঘটনায় মার্কেটের মালিক আলমগীর খান বাদী হয়ে রোববার রাতে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আশুলিয়ার যুবলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের অভিযোগ, প্রায় দুই বছর আগে যুবলীগের কমিটি নিয়ে আসার পর থেকেই মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়া বেপোয়ারা হয়ে উঠে। আশুলিয়া এলাকায় একাধিক ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে আশুলিয়া থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরিও দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া আশুলিয়ার গাজীচর এলাকায় এ এম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একটি পুকুর দখল করে মাছ বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, লুটপাট, ভাঙচুর ও মার্কেট দখলের চেষ্টার অভিযোগে যুবলীগ নেতা মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আর/০৮:১৪/২৮ অক্টোবর