বগুড়া, ১৩ মে- মাত্র ১৫ দিন আগে কিশোরী ফারজানা খাতুনকে (১৫) স্বামীর বাড়িতে রেখে এসেছিলেন তার বাবা। আজ সোমবার সকালে স্বামীর বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঘটনানটি ঘটেছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পারশুন গ্রামে। পুলিশের ধারণা, ফারজানাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই গা ঢাকা দিয়েছেন স্বামী রকি হোসেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় এক মাস আগে নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের আগাপুর গ্রামের দিনমজুর আবুল কালামের কিশোরী মেয়ে ফারজানার সঙ্গে পাশের পারশুন গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে রকি হোসেনের বিয়ে হয়।
বিয়েতে ২৫ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা থাকলেও ফারজানার বাবা সেই টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। এক বছর পর যৌতুকের টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবুল কালাম ১৫ দিন আগে তার মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে রেখে যান। এরপর সোমবার সেই কেশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফারজানার বাবা আবুল কালাম জানান, রকি এর আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। তিনি তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর ফারজানাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা হয়। তিনি টাকা যোগার করতে না পারায় মেয়েকে তার স্বামী নিয়ে যাচ্ছিলেন না। শেষে এক বছরের মধ্যে টাকা দেওয়ার ওয়াদা করে ১৫ দিন আগে তিনি মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে রেখে আসেন। কিন্তু ঈদের আগেই টাকা নেওয়ার জন্য ফারজানাকে নির্যাতন শুরু করেন রকি। আজ সকালে তিনি তার মেয়ের মৃত্যুর খবর পান।
ফারজানাকে যৌতুকের টাকার জন্যই হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তার বাবা।
নন্দীগ্রাম উপজেলার কুমিড়া পন্ডিতপুকুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ বলেন, সোমবার সকালে এরাকাবাসীর দেওয়া খবরের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলায় ও গালে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আর এস/ ১৩ মে