জেরুজালেম, ১৬ এপ্রিল- মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল আকসা মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে রুশ গণমাধ্যম স্পুটনিক।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুই হাজার বছরের পুরনো এবাদতের একটি জায়গাকে বেশ ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় আল মারওয়ানি নামাজের কক্ষের ছাদের বাইরে গার্ডরুমে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল।
আগুন নেভাতে দ্রুত সাড়া দেয়ায় অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের তারিফ করেছে ওয়াকফ বিভাগ। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ। ১৯৬৭ সাল থেকে এ স্থানটির নিয়ন্ত্রণ করছে দখলদার ইসরাইল।
জর্ডানের কাছ থেকে এ ভূখণ্ড জবরদখল করেছিল ইহুদি রাষ্ট্রটি। আগুনের কারণ অনুসন্ধানে বর্তমানে জায়গাটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
হারাম আল শরিফের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কোণের নিচে আল মারওয়ানি এবাদতখানা অবস্থিত। এ ভূগর্ভস্থ কক্ষটি মুসলমানরা নামাজের জন্য ব্যবহার করেন।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আল মারওয়ানি এবাদতখানা থেকে আগুনের ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
জেরুজালেমের ওয়াকফ অ্যান্ড আল আকসা মসজিদ বিভাগের পরিচালক শেখ আজ্জাম আল খতিব বলেন, শিশুদের সেখানে খেলতে দেখা গেছে। তাদের হাত থেকেই এ আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পবিত্র স্থানটিকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি ওই স্থানটির ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
حريق داخل المسجد الأقصى !
— منصور أبو عبيدة (@Mansorryaan) April 15, 2019
النيران التهمت غرفة حراس المصلى المرواني بالمسجد . pic.twitter.com/oYEbPLXjiL
সূত্র: যুগান্তর
আর এস/ ০১ এপ্রিল