ওয়াশিংটন, ০৮ মার্চ- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পদ গত বছরের তুলনায় বাড়েনি। তার পরও ফোর্বসের শীর্ষ ধনীর তালিকায় এগিয়েছেন তিনি। ফোর্বসের তালিকায় থাকা শীর্ষ ধনীদের অনেকের অবস্থানে অবনতি হওয়ার কারণেই তালিকায় উপরের দিকে উঠে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর রয়টার্স।
ফোর্বসের মতে, গত বছর ট্রাম্পের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩১০ কোটি ডলার। চলতি বছরও তা অপরিবর্তিত রয়েছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের সহকারী ব্যবস্থাপনা সম্পাদক লুইজা ক্রল জানান, ফোর্বসের বিলিয়নেয়ার তালিকায় ৫১ ধাপ এগিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশ্বের ২ হাজার ১৫৩ জন বিলিয়নেয়ারের মধ্যে তার অবস্থান এখন ৭১৫তম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ক্রল জানান, অনেক বিলিয়নেয়ার র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়ার কারণেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তালিকায় উপরের দিকে উঠে এসেছেন। তার সম্পদ না বাড়লেও অবস্থানের উন্নতি ঘটেছে।
চলতি বছরের শীর্ষ ধনীর তালিকায় বড় ধরনের চমক সৃষ্টি করেছেন ২১ বছরের তরুণী কাইলি জেনার। নিজ চেষ্টায় সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নেয়ার হয়েছেন কাইলি। মাত্র তিন বছর আগে তার প্রতিষ্ঠিত কসমেটিক কোম্পানির সফলতার হাত ধরেই এত অল্প সময়ে বিলিয়নেয়ারের তালিকায় উঠে আসতে পেরেছেন তিনি।
চলতি বছরও ফোর্বসের বিলিয়নেয়ার তালিকার শীর্ষে বহাল আছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোস। এ বছর তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। সম্ভবত এ বছরই শেষবারের মতো ফোর্বসের তালিকার শীর্ষে থাকতে পারলেন বেজোস। কেননা শিগগিরই তিনি ও তার স্ত্রী ম্যাকেনজি বেজোস আলাদা হতে যাচ্ছেন। ম্যাকেনজি ছিলেন অ্যামাজনের শুরুর দিককার একজন হিসাবরক্ষক। ডিভোর্সের পরই সম্ভবত ওয়াশিংটনের আইন অনুযায়ী, অ্যামাজনের অর্ধেক সম্পদের মালিক হয়ে যাবেন ম্যাকেনজি। এরপর আর শীর্ষ ধনীর তালিকায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন না বেজোস।
ফোর্বসের চলতি বছরের তালিকায় বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ও তাদের সম্পদ উভয়ই কমে এসেছে। ২০১৮ সালে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২০৮ জন। চলতি বছর বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ৫৫ জন কমেছে। অন্যদিকে গত বছর বিলিয়নেয়ারদের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ১০ ট্রিলিয়ন ডলার, ২০১৯ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭০ ট্রিলিয়ন ডলারে।
এন এ / ০৮ মার্চ