মায়ের প্রতিবাদ ও ভালুকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পদক্ষেপের কারণে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে ময়মনসিংহের ভালুকার ঝালপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী লিজা আক্তার (১৩)।
শুক্রবার রাতে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ডেওয়াতলী গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা ও ভালুকা মডেল থানা পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার ডেওয়াতলী গ্রামের আমিনুল ইসলামের সদ্য জেএসসি পরীক্ষা দেওয়া মেয়ে লিজা আক্তারের (১২) সঙ্গে প্রতিবেশি হযরত আলীর সৌদি প্রবাসী ছেলে মোস্তফা কামালের টেলিফোনে বিয়ে হচ্ছিল শুক্রবার রাতে।
কিন্তু আমিনুল ইসলামের স্ত্রী ফাহিমা নুছরত মিমি (মেয়ের মা)শুরু থেকেই মেয়ের বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে আসছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন স্বামী আমিনুল ইসলাম।
শুক্রবার রাতে লিজাকে যখন জোরপূর্বক প্রবাসী মোস্তফা কামালের পরিবারের লোকজন আংটি পরাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়ে নিজের বড় মেয়ের স্বামী মোশাররফ হোসেনকে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ পাঠান মা ফাহিমা নুছরত মিমি।
এ অভিযোগের পর ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল আলম দ্রুত ঘটনাস্থলে ভালুকা মডেল থানা পুলিশকে পাঠান। ইউএনও’র নির্দেশে ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।
এর আগে পুলিশকে লিজা বলেন, “আমার বয়স না হওয়া সত্ত্বেও জোরপূর্বক বাবা আমার বিয়ে দিতে চাইছেন। আমি বিয়ে না করলে আমার বাবা আমার মাকে তালাক দেবে বলেও হুমকি দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল মোতালেব মিয়া জানান, ইউএনও’র নির্দেশে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
পাশাপাশি লিজা ও তার মাকে যাতে কোনো প্রকার মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন করা না হয় সেই ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়টি দেখভাল করার জন্য ওই ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার বাবুল হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।