জাতীয়

ধর্মীয় শান্তি রক্ষায় সরকার সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ১৯ মার্চ – দেশে ধর্মীয় শান্তি রক্ষার প্রয়োজনে সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি আরো বলেন, এদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার আছে। যা যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। এই শান্তি যেন কেউ নষ্ট না করতে পারে, সে জন্য সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে নতুন নতুন আইন প্রণয়ন এবং মনিটরিংয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেউ কেউ ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে ধর্ম বা চেতনায় আঘাতের চেষ্টা করছে। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো মন্তব্য করার আগে অবশ্যই সঠিকভাবে চিন্তা করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের কোনো রক্ষা নেই। যারা এ কাজ করবে, তাদের যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।

আরও পড়ুন : আবারও দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

তিনি বলেন,সুনামগঞ্জের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তাও করা হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা এবং এতিমদের মাঝে বস্ত্র ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার পর ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করবে কিনা, সে অপেক্ষায় ছিল স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তারা মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলা নিজস্ব গতিতে চলবে। যারা ক্ষতিগ্রসস্ত হয়েছেন সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

তিনি বলেন, মনে রাখবেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে সাম্প্রদয়িকতা হতে দেওয়া হবে না। ঘটনায় উস্কানীদাতাদের আইনের আওতয় আনা হবে। বিশৃঙ্খলা রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা এখনও চলে যায়নি। আবারও ব্যাপকভাবে আসছে। যখনই সময় হবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। যতদিন কোভিড-১৯ না যায় ততদিন সবাইকে মাস্ক অবশ্যই রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এই দেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হবে। এখানে কেউ না খেয়ে থাকবে না। সবার ঠিকানার জন্য একটি বাড়ি পাবে। প্রধানমন্ত্রী সমস্ত গৃহহীনদের জন্য একটি করে ঘর দেওয়ার প্রোগ্রাম নিয়েছেন। সেই অনুযায়ী তিনি কাজ করছেন। কিছুদিনের মধ্যে তিনি ঘোষণা করবেন দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন নেই। আমাদের দেশের মানুষ শতভাগ শিক্ষিত হবে, শতভাগ চিকিৎসা সেবা পাবে তার জন্য তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তার সুফলও আমরা পাচ্ছি।

সূত্র : দেশ রূপান্তর
এন এইচ, ১৯ মার্চ

Back to top button