কক্সবাজার

গোপনে আইএনজিওর হয়ে কক্সবাজারে কর্মরত ৯ রোহিঙ্গা আটক

কক্সবাজার, ১৪ ফেব্রুয়ারি – আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (আইএনজিও) এসিএফ-এর অধীনে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গোপনে কাজ করা ৯ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। আটক রোহিঙ্গারা ‘আলী কন্সটাকশন’ নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিল।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাতারবাড়ি নতুন বাজার ও বাংলাবাজার থেকে তাদের আটক করে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ।

আটক রোহিঙ্গারা হলো- উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৮-ই’র হামিদ হোসেনের ছেলে নজিম উল্লাহ (২৩), একই ক্যাম্পের আবুল হোসেনের ছেলে লাল মোহাম্মদ (২৭), বালুখালী ৯ এফ-টু ক্যাম্পরে আবদুল করিমের ছেলে এরশাদুল্লাহ (২৮), ক্যাম্প-৩ জি ১৬ কুতুপালংয়ের আব্দুল আমিনের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (৩০), বালুখালী ৯ এফ- ২ এর কালা মিয়ার ছেলে খায়রুল আমিন (২৫), লালু মিয়ার ছেলে জিয়াবুল হোসেন (১৬), হামিদ হোসেনের ছেলে জাফর উল্লাহ (২১), নুর আলমের ছেলে আহমদ (২৬) ও এইচ ব্লকের আলী বকসুর ছেলে হামিদ হোসেন (৫৫)।

আরও পড়ুন : বাড়ছে বিমানবন্দরের রানওয়ে, যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরের ওপর

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসিএফ-এর ওয়াশ প্রজেক্টে প্রায় দুই মাস ধরে গোপনে কাজ করে আসছিল এসব রোহিঙ্গা। বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন রেখে কাজ করাচ্ছিলো মেসার্স আলী কন্সট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত মেসার্স আলী কন্সটাকশনের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলী ‘রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কোনো তথ্য ছিল না,’ বলে এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে এসিএফ-এর ম্যানেজার (লজিস্টিক) দিদারুল ইসলাম ও রাকিবুল আরেফিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা দুজনেই ‘কিছু জানেন না’ দাবি করে পরস্পরকে দোষারোপ করে কল কেটে দেন।

মাতারবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চৌকিদার ও স্থানীয় সংবাদকর্মী রকিয়তের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়। এছাড়া ঘটনার পর এসিএফে কর্মরত চার জন বাংলাদেশি কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গাকে মাতারবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহাফুজুর রহমান বলেন, ‘আটক ৯ রোহিঙ্গাকে পুলিশে হস্তান্তর করতে মাতারবাড়ি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের এভাবে চাকরি করানোর পেছনে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের সনাক্তের পর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ১৪ ফেব্রুয়ারি

Back to top button