যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী তালাক চাওয়ায় পরিবারের ৭ জনকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা
ওয়াশিংটন, ০৬ জানুয়ারি – পরিবারের ৭ সদস্যকে গুলি করে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ রাজ্যের এনোচ শহরে ঘটেছে এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনা। মার্কিন পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির স্ত্রী সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন, তারপরই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পুলিশের পক্ষ্য থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে এনোচ শহরের একটি বাড়িতে আট জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গুলি চালনার জেরেই সকলের মৃত্যু হয়েছে, নিহতদের মধ্য ৫ জন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে শহরের কর্মকর্তারা জানান, এনোচ শহরের বাসিন্দা ৪২ বছর বয়সী বীমা বিক্রয়কর্মী মাইকেল হাইট আত্মহত্যার আগে তার ৪০ বছর বয়সী স্ত্রী তৌশা, তার ৭৮ বছর বয়সী শাশুড়ি গেইল আর্ল এবং তার পাঁচ সন্তানকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। নাম প্রকাশ না করা পাঁচ শিশুর মধ্যে ১৭, ১২ ও ৭ বছর বয়সী তিনটি মেয়ে এবং ৭ ও ৪ বছর বয়সী দুই ছেলে রয়েছে।
এনোচের মেয়র জিওফ্রে চেস্টনাট জানিয়েছেন, দাম্পত্য সমস্যার জেরেই এই গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। তিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আদালতের তথ্য অনুযায়ী ২১ ডিসেম্বর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন আততায়ীর স্ত্রী।
উটাহের গভর্নর স্পেন্সার কক্স এই ঘটনাকে ‘বুদ্ধিহীন সহিংসতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনও তাদের শোকপ্রকাশ করেছেন এবং ঘটনাটিকে একটি ‘দুঃখজনক শুটিং’ বলে অভিহিত করেছেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়ের এক বিবৃতিতে বলেছেন, স্যান্ডি হুক ট্র্যাজেডির ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার এক মাসেরও কম সময় পরে, এনোক সিটিতে আরেকটি গণ গুলির ঘটনায় আরও পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এনোচ খুব ছোট্ট একটি শহর। উটাহের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই শহরে মাত্র সাড়ে সাত হাজার লোকের বাস। সল্টলেক সিটি থেকে এখানে যেতে সময় লাগে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা। এই শহরের বাসিন্দারা একে অপরকে চেনেন বলে জানিয়েছেন ওই শহরের মেয়র।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/০৬ জানুয়ারি ২০২৩