এশিয়া

মামলার রায়ের পর সু চি বাড়ি ফিরতে পারেন: জান্তা প্রধান

নাইপিদো, ২০ আগস্ট – ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচি’র বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা মামলাগুলোর রায়ের পর জেল থেকে গৃহবন্দিত্বে নিতে দেয়ার কথা বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান মিং অং হ্লায়িং।

গত বছর সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সুচি। এরপরই নোবেল জয়ী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উসকানি ও দুর্নীতি থেকে শুরু করে নির্বাচনী ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ বেশ কিছু অভিযোগে মামলা হয়েছে।

গত জুনে সুচিকে রাজধানী নিপিধোর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এর আগে সুচিকে অজ্ঞাতস্থানে আটকে রাখা হয়েছিল। অন্তত ১৮ টি অভিযোগে করা মামলায় সুচির এরই মধ্যে কয়েকবছরের জেল হয়েছে।

জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ সপ্তাহে মিয়ানমার সফরের সময় সুচিকে জেল থেকে বাড়িতে ফিরে যেতে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার লিখিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানান জান্তা প্রধান হ্লায়িং।

বিবৃতিটি টিভিতে পড়ে শোনানো হয়। এতে বলা হয়েছে, আমি বিষয়টি বিবেচনা করব… রায় হয়ে যাওয়ার পর। আমরা তার (সুচি) ওপর শক্ত কোনও অভিযোগ আনিনি। তাকে দয়াও দেখিয়েছি, যদিও আমরা চাইলে আরও অনেককিছুই করতে পারতাম।

মিয়ানমারে কয়েক দশকের সেনা শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের পর সুচিকে প্রথম গৃহবন্দি করা হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। ৭৭ বছর বয়সী গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী সুচি গত তিন দশকের প্রায় অর্ধেক সময়ই গৃহবন্দিত্বে কাটিয়েছেন। ২০১০ সালে তাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে পুরোপুরি মুক্তি দেয়া হয়েছিল।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২০ আগস্ট ২০২২

Back to top button