ইউরোপ

ছাড় দিতে রাজি নয় ইউক্রেনীয়রা

কিয়েভ, ০১ এপ্রিল – ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অদূরে লভিভের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে বাস করেন ইউলিয়া। বুচা থেকে পালিয়ে আসা ২৫ বছর বয়সী এই তরুণী রাশিয়াকে তার দেশের কোনো অঞ্চল ছেড়ে দিতে রাজি নন।

এমনকি তাতে যুদ্ধ বন্ধ হলেও নয়।
ইউলিয়া জানান, তিনি বুচা ছেড়ে পালিয়ে আসেন কারণ সেখানে বোমাবর্ষণ হচ্ছিল। এছাড়া বেশির ভাগ সময়ই ছিল আতঙ্কের। যুদ্ধের দামামায় তার মা জার্মানিতে চলে যান কিন্তু নিজের দেশে থাকার সিদ্ধান্ত নেন ইউলিয়া।

তিনি বলেন, ইউক্রেন আমার নিজের দেশ। আমি চাই না প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে কোনো ছাড় দিন।

ইউলিয়ার মতো ইউক্রেনের অনেক অধিবাসীই মনে করেন, কিয়েভের পূর্বে এবং উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে রাশিয়া ফিরে যাওয়ার পর যুদ্ধ তার নিজের গতিতেই চলছে। তবে রাশিয়া যে কিয়েভের চারপাশে এবং উত্তরাঞ্চলের আরো কিছু শহরে সামরিক তত্পরতা কমিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে, তাতে তারা পুলকিত।

ইউক্রেনীয়রা এই বিষয়টি একটি অবশ্যম্ভাবী বিবৃতি হিসেবে দেখছে। তারা মনে করছেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বীরত্বই রাশিয়াকে সরে আসতে বাধ্য করেছে। ফলে কিয়েভের দিকে রাশিয়ার অগ্রযাত্রার প্রচেষ্টা থেমে গেছে।

আবার রাশিয়ার এই হোঁচট খাওয়ায় আত্মবিশ্বাস বাড়ছে ইউক্রেনীয়দের মধ্যে। যদিও দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা এখনো অব্যাহত আছে এবং এই যুদ্ধ কীভাবে বন্ধ করা যায় তা নিয়েও আলোচনা চলছে।

চলতি সপ্তাহে তুরস্কে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কুটনীতিকরা বৈঠক করেছেন। ইউক্রেন বলেছে, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে তারা একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে প্রস্তুত। এছাড়া রাশিয়ার আশংকা দূর করতে দেশটি নেটোতে যোগ দেবে না।

ওই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের অবস্থান নিয়ে ১৫ বছরের জন্য পরামর্শের সময় নির্ধারণ। রাশিয়া জোর করে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে এবং ২০১৪ সালে অবৈধভাবে অধিগ্রহণ করে।

এছাড়া বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া দোনেস্ক ও লুহানস্কের অবস্থান নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং জেলেনস্কি পরে সরাসরি আলোচনা করবেন বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

ইউক্রেনের খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী যে কোনো শান্তি চুক্তিকে গণভোটে পাশ করাতে হবে।

সূত্র: বাংলানিউজ
এম ইউ/০১ এপ্রিল ২০২২

Back to top button