দক্ষিণ এশিয়া

পাঞ্জাবের প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা নভজৎ সিং সিধুর

নয়াদিল্লি, ২৮ সেপ্টেম্বর – বিধানসভা ভোটের আগে নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহ চলছে পাঞ্জাব কংগ্রেসে। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নভজৎ সিং সিধু। দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। সিধু জানিয়েছেন, সভাপতির পদ ছাড়লেও কংগ্রেসের একজন কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করে যাবেন।

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে অমিত শাহ এবং জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন অমরেন্দ্র সিং। বিজেপির একটি সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে ওই বৈঠকেই পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলবদল চূড়ান্ত হতে পারে। অমরেন্দ্রর মিডিয়া উপদেষ্টা রবিন ঠুকরাল মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, অমরেন্দ্র এখন দিল্লিতে ব্যক্তিগত সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু বন্ধুর সঙ্গে দেখা করবেন। এনিয়ে অযথা জল্পনার প্রয়োজন নেই।

প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার সিধুকে গত ১৫ জুলাই পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্রর সঙ্গে তার সংঘাত প্রকাশ্যে আসে। লোকসভা এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সিধু এক সময় অমরেন্দ্র মন্ত্রিসভারও সদস্য ছিলেন। ২০১৭ সালে বিজেপি ছেড়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। তবে কংগ্রেসে থাকার কথা জানালেও ইস্তফায় কংগ্রেস সভানেত্রীকে সিধু লিখেছেন, পাঞ্জাবের ভবিষ্যৎ এবং উন্নয়নের প্রশ্নে আমি কোনো আপস করব না।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ের রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে ইস্তফা দেওয়ার পরেই ‘বিকল্প পথের’ কথা বলে কংগ্রেস ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাঞ্জাব রাজনীতির ‘ক্যাপ্টেন’। তার আগে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছিলেন, অপমান সহ্য করে তিনি আর দলে থাকতে চান না। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাঞ্জাবে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত অমরেন্দ্র দল ছাড়লে কংগ্রেস বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।

আশির দশকে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে সেনা অভিযানের প্রতিবাদে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন পাটিয়ালার রাজ পরিবারের সন্তান তথা প্রাক্তন সেনা অফিসার অমরেন্দ্র। যোগ দিয়েছিলেন শিরোমণি অকালি দলে। তবে কয়েক বছর পরে ফের কংগ্রেসে ফিরেছিলেন তিনি। এবার সিধুর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে অমরেন্দ্রকে। তিনি অরবিন্দ কেজরীওলের আম আদমি পার্টিতে (আপ) যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছিল।

কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের জেরে পাঞ্জাব রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বিজেপি। দীর্ঘদিনের সহযোগী অকালি দলও এনডিএ জোট ছেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অমরেন্দ্রকে দলে পেলে পদ্ম-শিবির কিছুটা লড়াইয়ের জায়গায় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

Back to top button