পশ্চিমবঙ্গ

ফেসবুক পোস্টে ‘গুরুত্বপূর্ণ লাইন মুছে’ যাওয়া নিয়ে গভীর রাতে অবস্থান স্পষ্ট করলেন বাবুল

কলকাতা, ০১ আগস্ট – দুপুর থেকেই তাঁকে ঘিরে জল্পনা চরম। আচমকা ফেসবুকে বলে দিলেন ‘চললাম।’ কিন্তু কোথায় চললেন? সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। ‘অন্য কোনও দলে যাচ্ছি না। তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম কোথাও নয়। কনফার্ম করছি। কেউ আমায় ডাকেওনি, আমিও কোথাও যাচ্ছি না।’ শনিবার তাঁর করা প্রথম ফেসবুক পোস্ট থেকে এই কয়েকটি লাইন কিছুক্ষণের মধ্যেই উধাও হয়ে যায়। তখনই প্রশ্ন ওঠে, কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে কি সরে আসছেন তিনি? নাকি পোস্ট সামনে আসতেই ডাক এসেছে কোনও দল থেকে? এই জল্পনা যখন চরমে, তখন গভীর রাতে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বাবুলের।

রাত ১ টা নাগাদ নিজের ফেসবুকে ফের একটি পোস্ট করেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে তিনি দাবি করেন অরিজিনাল পোস্টে একটি লাইন জুড়তে গিয়েই নাকি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মুছে ফেলেছেন তিনি। নতুন করে আবারও সেই লাইনগুলি লিখে দেন বাবুল। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি সাংসদ পদ থেকেও ইস্তিফা দিচ্ছি’ এই লাইনটা এডিট করে জুড়তে গিয়েই মুছে গিয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লাইন। আদতে বাবুলের এই ব্যাখ্যা কি যথেষ্ট? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই রাজনৈতিক মহলে। প্রথমবারের মতো তৃণমূল বা কংগ্রেসের নামও করেননি তিনি। শুধু লিখেছেন, ‘সারাজীবন একটাই দলকে সাপোর্ট করেছি- মোহনবাগান, একটাই দল করেছি- বিজেপি।’ সুতরাং, কোনও দল থেকে ডাক আসেনি এমন কথা বাবুলের পোস্ট থেকে উধাও।

২০১৪ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন বাবুল। প্রথমবার ভোটে জিতেই কেন্দ্রে মন্ত্রী হন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পরও সেই ধারাই অব্যাহত থাকে। কিন্তু তাল সামান্য কাটে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। টালিগঞ্জে প্রার্থী হয়ে হেরে যান বাবুল। এর কয়েক মাসের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি তাঁর। আর তার পর থেকেই তাল কাটতে শুরু করেছে। শনিবার প্রথম পোস্টে সরাসরি রাজনীতি ছাড়ার কথা জানিয়েছেন বাবুল। তারপর থেকেই জল্পনা চরমে। তবে বাবুল কোন দিকে পা বাড়াবে, তা সময়ই বলবে।

যদিও বাবুলের এই পোস্টে আমল দিতে রাজি নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ জবাব, ‘কে কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, কখন রাজনীতি করবেন, কখন করবেন না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’ অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এটাকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে রাজি নই। বাবুল মানসিক হতাশা থেকে এটা করেছে। ওকে ঘুম থেকে তুলে বলেছে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দাও। তাই দুঃখ হয়েছে। দলেও কোণঠাসা, জায়গা পায় না, দমবন্ধ লাগছে, অক্সিজেন কম যাচ্ছে। তাই এখন ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে।’

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ, ০১ আগস্ট ২০২১

Back to top button