জাতীয়

’গোটা দেশে এখন দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে’ : মির্জা ফখরুল

ঢাকা, ৩০ জুলাই – জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে একীভূত করে গণতন্ত্রকে ছিনিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী জাতীয় উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ‘ব্যক্তিখাত বিকাশে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও মুক্তবাজার অর্থনীতি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে আমাদেরকে জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করে প্রথমে আমাদের দলকে সুসংগঠিত করতে হবে, জনগণকে সঙ্গে নিতে হবে এবং সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে একীভূত করে সেই গণতন্ত্রকে ছিনিয়ে আনতে হবে, যে গণতন্ত্র আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে। গণতন্ত্রের মাথা বেগম খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ আছেন তাকে মুক্ত করতে হবে, এদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্ত করতে হবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চিন্তাভাবনা থেকে।

গোটা দেশে এখন দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বর্তমান সরকার ব্যাংকিং সেক্টার ও শেয়ার মার্কেটকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানিলন্ডারিং এমন পর্যায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, এখন সরকার নিজে বলছে যে, এটা নিয়ন্ত্রণ করার দরকার, দুদক চেষ্টা করছে। দুর্ভাগ্য আমাদের এই কয়েকদিন আগে দেখলাম দুদকের যিনি প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন তার নামেও দুর্নীতির অভিযোগ চলে এসেছে।

তিনি বলেন, আজ সরকার কী করেছে? একটা মিথ তৈরি করতে চায়। মিথটা কি যে, সাউথ ইস্ট এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একটা রোল মডেল মধ্য আয়ের দেশ, উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। ইটস এ টোটালি একটা ভোক্স, একটা মিথ ছাড়া কিছু না। তারা গোয়েবেলসীয় পদ্ধতিতে প্রচার-প্রচারনার মধ্যে দিয়ে আজকে সেই কথাটা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে।

‘কিন্তু বাস্তব অবস্থাটা কি? বাস্তব অবস্থাটা হচ্ছে, এখন এদেশে প্রায় ৬ কোটি লোক দারিদ্র সীমার নিচে। বাস্তব অবস্থাটা কী? আজকে করোনার যে আঘাত এসেছে, সেই আঘাত সহ্য করতে পারছে না বাংলাদেশ, অর্থনীতি সহ্য করতে পারছে না। আজকে আরো দুই কোটি লোক নতুন করে দরিদ্র হয়ে গেছে। একদিকে কিছু লোক তারা লুটের মধ্য, দুর্নীতির মধ্য দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে মানুষ দরিদ্র আরো দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে।’

জাতীয় উদযাপন কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এস সি/ ৩০ জুলাই

Back to top button