শিক্ষা

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের পাশে আছি, বললেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ

ঢাকা, ৩০ জুলাই – দুটি ফোনালাপ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার৷ তিনি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আহ্বায়ক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন৷

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা জানান৷

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘ফোনে কথা বলা এটা ব্যক্তিগত পর্যায়ের বিষয়৷ যদিও বিষয়টি আমি এখনো ক্লিয়ার না। তবুও এসব প্রকাশ করা আইসিটি আইনের লঙ্ঘন৷ এই ধরনের অডিও সামনে আনার উদ্দেশ্য কী সেখানে যে ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি হয় সেগুলো সামনে আসুক?’

বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে উল্লেখ করে এই শিক্ষক নেতা বলেন, ‘ভাসা ভাসা তদন্ত করলে হবে না৷ সমস্যার মূল জায়গাটা খুঁজে সমাধান করতে হবে৷ শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য৷ ফোনালাপ ফাঁস অত্যন্ত গর্হিত কাজ৷’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে বর্তমান সরকার একটা রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে ভর্তি করানো হয়৷ রাজধানীর দু-তিনটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন প্রতিবার সংবাদের শিরোনাম হবে! ভর্তি নিয়ে সমস্যা কেন থাকবে! ভিকারুননিসা একটা নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেখানে ভর্তির বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা তেমন একটা কঠিন কাজ নয়৷ আমরা চাই সরকার একটা কঠিন অবস্থানে যাক৷ একটা ভালো প্রতিষ্ঠান নষ্ট হয়ে যাক সেটা আমরা কেউই চাই না৷’

অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘ভিকারুননিসায় নাকি নানান সব ফি নেয়া হয়৷ শিক্ষকরা তো বেতন পায়৷ শতশত কোটি টকার তহবিল করার কোনো দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না৷ তহবিল বড় হলে সেখানে অনেকের লোলুপ দৃষ্টি চলে আসে৷ কামরুন নাহার আমার (শিক্ষা ক্যাডার) ক্যাডারের সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ তিনি তো সেখানে যেতে চাননি৷ সরকার তাকে সেখানে পদায়ন করেছে৷ সেখানে তো পার্মানেন্ট পোস্ট না৷ যেকোনো সময় সরকার তাকে আবার অন্য কোথাও বদলি করতে পারে৷’

প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সমালোচনা করে এই শিক্ষক নেতা বলেন, ‘ওটা একটা মেয়েদের স্কুল। ৷গভর্নিং বডি কেন ফুল টাইম অফিস করবে, তাদের জন্য কেন আলাদা অফিস থাকবে। এটা শিক্ষকদের জন্য একটা মানসিক চাপ৷’

উল্লেখ্য, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর একটি ফোনালাপ ফাঁসের পর বুধবার (২৮ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরেকটি ফোনালাপ ফাঁস হয়৷ এটি অধ্যক্ষের সঙ্গে গভর্নিং বডির সদস্য মনিরুজ্জামান খোকনের ২৭ মিনিট ৩ সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ৷

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকেই এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ৩০ জুলাই

Back to top button