ব্যক্তিত্ব

প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে সুন্দরভাবে বড় করে তুলবেন কীভাবে?

প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে সুন্দরভাবে বড় করে তুলবেন কীভাবে? প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের বড় করে তোলা মোটেই সহজ নয়। তাই আপনাদের সুবিদার্থে এই প্রবন্ধে এমন কিছু বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করা হল, যা মেনে চললে এমন বাচ্চাদের বড় করে তুলতে তেমন কোনও অসুবিধাই হবে না আপনাদের। প্রতিবন্ধকতা এক ধরনের নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার, যাতে আক্রান্ত বাচ্চা ঠিক মতো কথা বলতে বা সাধারণ বাচ্চাদের মতো বেড়ে উঠতে পারে না।

তবে জন্ম থেকেই বাচ্চার এমন অ্যাবনরমালিটি দেখা দেবে, এমন নয়। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত ৩ বছরের পর থেকে প্রকাশ পেতে শুরু করে নানা অসুবিধা। যেমন, বাচ্চা ঠিক মতো কথা বলতে পারে না, অনেক সময় চলাফেরা করতেও অসুবিধা দেখা দেয়। সাধারণত জিনগত কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। অনেক কারণে এমনটা হতে পারে।

যেমন প্রগনেন্সির সময় জটিলতা, অপুষ্টি, ক্রোমোজোনাল অ্যাবনরমালিটি প্রভৃতি। প্রতিবন্ধী বাচ্চারা দৈনন্দিন কাজকর্মও ঠিক মতো করতে পারে না। কারণ ছোট বেলা থেকে কোনও কিছু শেখার ক্ষমতাই তাদের থাকে না। তাই তো বাবা-মায়েদের এমন কিছু গুণ থাকতে হয়, যাতে বাচ্চারা বিনা অসুবিধায় বড় হয়ে উঠতে পারে। এই প্রবন্ধে এমন কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করা হল যা বাবা-মায়েদের এমন পরিস্থিতিতে অনেক সাহায্য় করতে পারে।

টিপস ১: প্রথম থেকেই এটা মেনে নিন যে আপনার বাচ্চা স্বাভাবিক নয়। এমনটা করলে দেখবেন মানসিক চাপ অনেকটাই কমবে।

টিপস ২: আপনার বাচ্চা অনেক ধরনের আবদার করবে। সব হয়তো মেনে নেওয়া আপনার পক্ষে সম্ভবও হবে না, কিন্তু মাথা ঠান্ডা রাখবেন। ভুলে যাবেন না সে অনেক কিছুই না বুঝে করছে। সেই সঙ্গে আপনার বাচ্চার কী কী ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে তা জানার চেষ্টা করবেন।

টিপস ৩: এমন ধরনের বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য় বিশেষ স্কুল আছে। সেখানে বাচ্চাকে ভর্তি করে দিন। স্কুলে ভর্তি করে দিলেই কিন্তু আপনার দায়িত্ব শেষ হেয় য়ায় না। সে যাতে ঠিক মতো স্পেশাল কেয়ার পায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে কিন্তু!

আরও পড়ুন: লাজুক ছেলেমেয়েদের বড় করতে ৭ টি টিপস

টিপস ৪: এই ধরনের বাচ্চাদের রাস্তা-ঘাটে অনেকে উত্তক্ত করে। এদিকে বাবা-মাকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ প্রতিবন্ধী বাচ্চারা তাদের রাগ বা দুঃখ প্রকাশ করতে পারে না।

টিপস ৫: নিদিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বাচ্চাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন। ঠিক মতো চিকিৎসা পেলে দেখবেন তার রোগের লক্ষণ অনেক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

টিপস ৬: প্রতিবন্ধী বাচ্চা যাদের রয়েছে তারা অরেকটি বাচ্চা নেওয়ার আগে ভালো করে ভাববেন। কারণ অ্যাবনরমাল বাচ্চাদের খেয়াল রাখতে অনেকটা সময় চলে যায়। তাই আরেক জন বাচ্চাকে বড়ে করে তোলার মতো সময় আপনার হাতে আছে কিনা, তা দেখে নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেবেন।

টিপস ৭: আপনার বাচ্চাকে কখনই মনে হতে দেবেন না যে সে আর পাঁচ জনের মতো নয়। প্রতিদিন তাকে সময় দিন। তার কথা শুনুন। খেলাধুলো করেন। এমনটা করলে দেখবেন হাজারো অসুবিধা সত্ত্বেও আপনার বাচ্চার মধ্য়ে বেঁচে থাকার আশা জন্মাবে।

এম এন / ২৩ অক্টোবর

Back to top button