জানা-অজানা

সংগীত যখন অসুস্থ করে তোলে মানুষকে

বেহালা বাজানোর ফলে একজিমা, জয়েন্টে ব্যথা, পেশির খিঁচুনি কিংবা টিনিটাস – প্রায় ৭০ শতাংশ পেশাদার সংগীত শিল্পীকে এইসব অসুখ-বিসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে৷ ক্রীড়াবিদদের তুলনায় কোনো অংশে কম নয় এ চাপ৷

পেশাদার সংগীতকারদের শারীরিক চাপ ক্রীড়াবিদদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়৷ কিন্তু স্পোর্টস মেডিসিন নিয়ে চিকিৎসা জগতে অনেক আগে থেকে মাথা ঘামানো হলেও সংগীতকারদের পেশাগত অসুস্থতাকে খুব একটা আমল দেওয়া হয়নি এতদিন৷ ইদানীং এদিকে কিছুটা নজর দেওয়া হচ্ছে৷

কোনো কোনো সংগীত বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হয়েছে৷বছর দুয়েক আগে সংগীত সাংবাদিক, অর্গানবাদক ও চিকিৎসক ভলফ্রাম গ্যর্টৎস-এর উদ্যোগে ‘মুসিকার আম্বুলানত্স’ নামে এক চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে৷ এটি ড্যুসেলডর্ফ ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকের সঙ্গে সংযুক্ত৷ নিওরোলজিস্ট, অর্থপেডিস্ট, হ্যান্ড সার্জন, মনস্তত্ত্ববিদ ও ফিজিও থেরাপিস্টদের একটি নেটওয়ার্ক কাজ করছে এই চিকিৎসা কেন্দ্রে৷

আরও পড়ুন:   কোকা-কোলার ২০টি ব্যতিক্রমী ব্যবহার

বেহালাবাদকদের কাঁধে ও চেলো বাদকদের বৃদ্ধাঙ্গুলের জয়েন্টে সমস্যা হয়৷ ব্লোয়ারদের ঠোঁটে ও মুখের পেশিতে অসুবিধা দেখা দেয়৷ তাঁরা প্রায়ই মাথা ঘোরার কথা বলেন৷ সংগীতশিল্পীদের জন্য বিশেষ প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর ৫০০-এর বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যে এই ইন্সটিটিউটের নাম বড়বড় অর্কেস্ট্রাতেও ছড়িয়ে পড়েছে৷

ডা. ভলফ্রাম গ্যোর্টৎস বলেন, ‘‘জার্মানির রেডিও সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার প্রায় অর্ধেকের মতো সদস্যই আমাদের রোগী৷ ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে ডুইসবুর্গ ফিলহারমোনিকের সঙ্গে এক সহযোগিতামূলক চুক্তি হয়েছে৷ বলা যায়, আমরা তাঁদের টিম ডাক্তার৷ চিকিৎসার পাশাপাশি আমরা প্রতিরোধকমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করে থাকি৷”

Back to top button