সচেতনতা

কিভাবে রোগের আক্রমণ থেকে দূরে থাকবেন

১.আপনার চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন : আপনার চারপাশের বায়ুদূষণ, ময়লা আবর্জনা আপনাকে প্রতিনিয়ত রোগের জীবাণুমুখী করে রাখে। তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটা পরিবেশ আপনার সুস্থ জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক।

২. ভাল করে হাত ধুয়ে নিন : আপনার আসবাবপত্র, টেলিফোন অথবা দরজার হাতল যখন ধরছেন, তখন জীবাণুগুলো মূলত আপনার হাতে লেগে যাচ্ছে অথবা আপনি যখন কারও সাথে করমর্দন করছেন তখন তাদের হাতের জীবাণুগুলো আপনার হাতে এসে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে আপনার হাত যখন আপনার শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গ যেমন নাক, চোখ, মুখে স্পর্শ করছে তখন এ জীবাণুগুলো আপনার শরীরে প্রবেশ করছে। এ জন্য বলা হচ্ছে, প্রতিবার হাত কোন কিছুর স্পর্শের পর ১৫ সেকেন্ড ধরে সাবান দিযে ধুতে হবে। যদি আমরা শুধু যধহফ ধিংয-এ যতœবান হই তবে সংক্রামক ব্যাধি ৭০% কমে যাবে।

৩.বিষাক্ত পদার্থ থেকে দূরে থাকুন: হাতে গ্লাবস পরুন, ময়লা ধুলো থেকে দূরে থাকুন। ব্লিচিং পাউডার, ওভেন ক্লিনার খালি হাতে ধরবেন না।
আপনার থালাবাসন যেন ভালভাবে ধোয়া হয় সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যেন কোন রকমের ডিটারজেন্ট লেগে না থাকে।

৪. ধূমপান করবেন না : ধূমপান আপনাকে এবং আপনার চারপাশের প্রতিজনকে রোগ আক্রমণের দিকে ঠেলে দেয়।

৫. দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকুন: হাসিখুশি এবং শিথিল থাকুন:দুশ্চিন্তা আপনার শরীরের হরমোন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এই হরমোন আবার রোগ প্রতিরোধ মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং রোগ আরোগ্যের ক্ষমতা কমে যায়।

৬. রীতিমতো ব্যায়াম করুন : ব্যায়াম আপনার জীবনের প্রতিদিনের রুটিনের একটি অংশ হোক। ব্যায়াম আপনার শরীরের ক্ষতিকারক বর্জ্য বের করে দেয়। ব্যায়াম শরীরের লিম্প ফ্যাটিক সিস্টেমকে উজ্জীবিত করে। হাল্কা খালি হাতে ব্যায়াম বা হাঁটা আপনার জন্য অত্যাবশ্যক।

ভাল খান, সুস্থ থাকুন
সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হলো ভাল খাওয়া, পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া। এখানে কিছু খাদ্য সম্পর্কে আলাচনায় যাওয়া যাক :

৭. দুধ, দই, পনির, সয়াবিন এই খাদ্যগুলো অন্তত একজন নিরামিষভোজী মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য গ্রহণের তালিকাতে থাকা উচিত। আমিষভোজীরা ডিমের সাদা অংশ, মাছ এবং সহজ প্রোটিন অন্তত সপ্তাহে ৩ দিন তাদের খাদ্য তালিকাতে রাখবেন।

৮. বেশি করে সবজি ও ফল খান। প্রচুর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছেÑযা কিনা ক্যান্সার ও প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি জোগাবে।

৯. বাদাম জাতীয় খাদ্য বেশি করে খান। এতে বেশি বেশি ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্ক মিলবে।
ক্স যে সব খাদ্যে পেস্টিসাইড, খাদ্য সংরক্ষণের কেমিক্যাল ও রং বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলো পরিহার করুন।

আরও পড়ুন- যেসব খাবার খেলে দূর হয় অবসাদ

১০. ভাজাপোড়া খাদ্য কম খাবেন। কারণ তারা রক্তে মুক্ত উপাদান বেশি ছাড়ে।

১১. চিনি পরিহার করুন, একেবারে পরিত্যাগ করতে পারেন। চিনি বেশি করে খেলে ১৫ ঘণ্টার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোগ ব্যবস্থা অক্ষম হয়ে উঠে।

১২. চা, কপি এবং এ্যালকোহল কম খাবেন। কারণ এরা শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর অযথা চাপ ফেলে।

আডি/ ২২ অক্টোবর

Back to top button