সংগীত

ইচ্ছে অনুযায়ী তালতলা কবরস্থানে হবে ফকির আলমগীরের দাফন

ঢাকা, ২৪ জুলাই-মৃত্যুর পর খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে যেন দাফন করা হয় এমন ইচ্ছের কথা এক বছর আগে পরিবারকে জানিয়েছিলেন প্রখ্যাত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর। সেই ইচ্ছে অনুযায়ী বাদ জোহর একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পীকে দাফন করা হবে।

এমনটি জানিয়েছেন ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব। আবেগতাড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘গেল বছর আমার শ্বশুর মারা গিয়েছিলেন। তালতলা কবরস্থানে তাঁর দাফন করতে যেয়ে এমন ইচ্ছের কথা জানিয়েছিল উনি। কারণ উনি খিলগাঁওয়ে উনার যৌবন কাটিয়েছেন সেখান থেকে শিল্পী হয়েছেন।’

শনিবার রাত ১টার পর ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব আরও জানিয়েছেন, আজ শনিবার সকাল ১১টায় খিলগাঁও পল্লীমা সংসদ প্রাঙ্গনে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ফকির আলমগীরের। এরপর তাঁর লাশ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে এক ঘণ্টা রাখার পর খিলগাঁও মাটির মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা ও গার্ড অব অনার শেষে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে হবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রখ্যাত গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর (৭১) শুক্রবার রাত ১০ টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

সবশেষ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়।

গত ১৪ জুলাই (বুধবার) করোনার নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে ফকির আলমগীরের। তখন চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এই সংগীতশিল্পী। পরদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পর রাত ১টার দিকে তাঁকে হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।

গণসংগীত ও দেশীয় পপ সংগীতে ব্যাপক অবদান রেখেছেন ফকির আলমগীর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। তাঁর ‘ও সখিনা’ গান এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

সূত্রঃ এনটিভি

আর আই

Back to top button