ফকির আলমগীরের অবস্থার অবনতি
ঢাকা, ২৩ জুলাই – করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টায় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। শুক্রবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব।
এর আগে শুক্রবার ফকির আলমগীরের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে মাশুক বলেছিলেন, ‘বাবার শরীরে ডি-ডাইমার কমেছে। রক্ত ও ফুসফুসে ইনফেকশন পাওয়া গেছে। ব্লাড প্রেসার খুবই লো হয়ে গেছে। রক্তে ইনফেকশনের জন্য প্রায় প্রতিদিনই সকালে জ্বর আসছে। সবাই বাবার জন্য দোয়া করবেন।’
বৃহষ্পতিবার জানা যায়, ফকির আলমগীরের অক্সিজেন স্যাচুরেশন শতভাগ। তার ডান ফুসফুস সংক্রমণমুক্ত থাকলেও বাম ফুসফুস এখনও ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। ফলে ডানপাশে কাত হলেই অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৭৫-এ নেমে আসে।
মাশুক বলেন, ‘আজ থেকে বাবাকে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া শুরু হচ্ছে। এই অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করলে খুবই বিপদ হয়ে যাবে।’
গত ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু পরদিন সন্ধ্যা থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এজন্য তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়।
ফকির আলমগীর একজন কণ্ঠযোদ্ধা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। যদিও ষাটের দশক থেকে গণসংগীত গেয়ে আসছেন তিনি। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অসামান্য ভূমিকা রাখেন তিনি।
স্বাধীনতার পর ফকির আলমগীর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন। পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে বাংলার লোকজ সুরের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি বহু গান করেছেন। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
সূত্র : সমকাল
এম এউ, ২৩ জুলাই