খুব জানতে ইচ্ছে করছে, কোন অংশগুলো তারা লিখেছে
ঢাকা, ২২ অক্টোবর- জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওনের কণ্ঠে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। গানের সুবাদে তারা হয়েছেন প্রশংসিতও। কিন্তু এর মধ্যেই অভিযোগ উঠেছে গানটির মেধাস্বত্ব নিয়ে। ব্যান্ড ‘সরলপুর’র অভিযোগ গানটি তাদের। অভিযোগ করার ঘণ্টা চারেক পরেই গানটি সরিয়ে নেয় ইউটিউব। এ নিয়ে শোবিজ পাড়ায় চলছে আলোচনা-সমালোচনাও।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমি ও শাওন শুধু গানটি গেয়েছি। এই গানের মালিক আমরা নই। গানটির মেধাস্বত্ব দাবি করেছে সরলপুর ব্যান্ড। তাদের কথায় যতটুকু জানতে পেরেছি, ২০০৮ সালে বকশীগঞ্জের এক সাধুর কাছ থেকে তারা গানটির ৩০ শতাংশ পেয়েছে। আর বাকি ৭০ শতাংশ তারা নিজেরা লিখেছে। আমার প্রশ্ন? একটি প্রচলিত গানের সঙ্গে যদি নিজেদের কথা যুক্ত করা হয়, তাহলে কি পুরো গানটি তাদের হয়ে যায়? ১০০ ভাগ মৌলিক না হলে কি নিজেদের বলে দাবি করা যায়?’
তিনি আরও বলেন, ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রে ‘ধরো বন্ধু আমার কেহ নাই’ গানটি ব্যবহার করেছে নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। গানটির প্রথম দুই অন্তরা হচ্ছে সংগৃহীত আর শেষের অন্তরাটা নির্মাতার লেখা। তার মানে কি, ওই গানের স্বত্ব গিয়াস উদ্দিন সেলিমের? না, এটাতো লোকগান। এই গানগুলো যে কেউ গাইতে পারে। এতে তো সমস্যার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত শ্রীকান্ত আচার্যসহ ‘সারেগামাপা’র আরও তিন বিচারক
সরলপুর ব্যান্ডের ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটিতে নিজেদের কথা যোগ করার প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তারা তো বলছে, গানটির ৭০ শতাংশ তারা লিখেছে। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে, কোন অংশগুলো তারা লিখেছে। তারা তাদের সেই কথাগুলো প্রকাশ্যে আনুক। আমার মতো অনেকেই এখন এটা জানতে চান। আর তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গানটি ইতিমধ্যেই ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এই গানটি কি অন্য শিল্পীর কণ্ঠে ইউটিউবে নেই? আছে, অসংখ্য শিল্পী কণ্ঠে গানটি এখনো ইউটিউবে আছে। তারা যদি গানটির মালিক হয়ে থাকে, তাহলে সেই গানগুলো ইউটিউব থেকে কেন তারা সরালো না। গানটির চার-পাঁচটি ভার্সন আমি ইউটিউবে দেখেছি, কোথাও গানের গীতিকার ও সুরকারের নাম দেখিনি। তাহলে কেন এই বিষয়টি নিয়ে তারা চুপ আছে।’
সবশেষে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘গানটি আজ শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলে এ নিয়ে এত কথা। গানটির কয়েকটি ভার্সনই ইউটিউবে আছে, কই তখন তো এত কথা দেখিনি। আমরা গেয়েছি, শ্রোতারা পছন্দ করেছে- তাই বোধহয় সমস্যা বেড়ে গেছে। যাই হোক, আমরা চাই তারা মূল গানের কথা ও তাদের যোগ করা কথাগুলো দেশের মানুষের সামনে নিয়ে আসুক। তখনই বোঝা যাবে গানটির মূল স্বত্ব কার।’
এন এইচ, ২২ অক্টোবর