কীভাবে যত্ন নেবেন শাড়ির
প্রতি বছর শুধু দাম দিয়ে শাড়ি কিনে আলমারি ভরলেই হবে? তাদের ঠিক মতো দেখভালও তো করতে হবে। নয়তো কিন্তু অত সাধের দামী শাড়িগুলির এক্কেবারে বারোটা বেজে যাবে! এই সব শাড়িগুলির যত্ন আপনি কীভাবে নেবেন?
এবার জেনে নেয়া যাক, ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে যত্ন নেবেন শাড়িগুলির৷
শাড়ি ঝুলিয়ে রাখবেন না:
শাড়ি ভাল রাখতে চাইলে, আলমারিতে তা ঝুলিয়ে রাখবেন না৷ তাতে জরি ছিঁড়ে যাওয়ার সমস্যা যেমন তৈরি হয়, তেমনই আবার পোকামাকড় শাড়িতে আক্রমণও করতে পারে খুব সহজেই৷
ন্যাপথলিন:
আলমারিতে গুছিয়ে রাখা শাড়িও কিন্তু সবসময় সুরক্ষিত নয়৷ কে বলতে পারে কখন পোকামাকড় ঢুকে আপনার প্রিয় শাড়ির বারোটা বাজায়? তাই আগাম সতর্ক হোন৷ ব্যবস্থা নিন৷ আলমারির কোণায় কোণায় দিয়ে রাখুন ন্যাপথলিন৷ আলমারিতে রাখতে পারেন নিমপাতাও৷
দাগ তুলুন ঘরোয়া পন্থায়:
ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই তুলে ফেলুন দাগ৷ ঠান্ডা জল দিয়ে ওই দাগ লাগা জায়গাটি ধুয়ে ফেলুন৷ তাতেও দাগ না উঠলে ব্যবহার করুন সাবান৷ তৈলাক্ত কিছু শাড়িতে লাগলে, সেই দাগ তোলার জন্য ব্যবহার করুন পাউডার অথবা গ্লিসারিন৷
ভাঁজ পরিবর্তন করুন:
নিশ্চয়ই সিল্কের শাড়ি রয়েছে৷ পরলেন আর তারপর ভাঁজ করে রেখে দিলেন দিনের পর দিন৷ তারপর হঠাৎ মাসছয়েক পর আপনার মনে হল ওই শাড়িটা পরে বেরোলে কেমন হয়? শাড়ি বের করতে গিয়েই দেখলেন, ততক্ষণে তার দফারফা হয়ে গিয়েছে৷ ভাবুন তো চোখের সামনে প্রিয় শাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে, মন খারাপ হবে না? সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহ অন্তর অন্তর শাড়ির ভাঁজ পরিবর্তন করুন৷ এভাবে জড়ি ছিঁড়ে যাওয়া কিংবা ভাঁজে ভাঁজে শাড়ি কেটে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন আপনি৷
ভিনিগারের ব্যবহার:
সিল্ক শাড়ির উজ্জ্বলতা হারিয়ে গেলেই শেষ৷ ব্যস, আর ওই শাড়ি পরার যোগ্য থাকে না৷ ঘরোয়া পদ্ধতিতে সিল্ক শাড়ির ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখা সম্ভব৷ এক বালতি জলের মধ্যে একটু ভিনিগার নিন৷ এবার ওই জলে শাড়ির জরি অংশ ডুবিয়ে তুলে নিন৷ শাড়ি শুকিয়ে পরে ইস্ত্রি করে নিন৷ এরপর চমক দেখবেন নিজে চোখেই৷
এম ইউ