সকালে খিলগাঁওয়ে সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-২ এর পাশে কোরবানি দিয়েছেন সাজ্জাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গতকাল ঈদ আনন্দ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাছাড়া কসাই পেতে অনেক সমস্যা হয়েছে। এ কারণে আজ নিরিবিলি কোরবানি দেবো বলে স্থির করেছি। পরিবার পরিজন নিয়ে কোরবানি দিচ্ছি।’
একটু সামনে গিয়ে দেখা গেছে, গোরান এলাকায় কোরবানি দিয়েছেন আরেক জন ব্যক্তি। তিনিও বলেছেন প্রায় একই কথা। তার মতে দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিলে গরিবরা মাংসগুলো রেখে খেতে পারে। প্রথম দিন তারা সবার কাছ থেকে মাংস পায়। আর ঈদের কারণে অনেকেই ব্যবস্ত থাকেন।
পুরান ঢাকার ইসলামপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে বহুমানুষ একত্রে কোরবানি দিচ্ছেন। তাদের একজন হাজী শরিয়ত উল্যাহ। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় দিন কোরবানি দেওয়া পুরান ঢাকাবাসীর একটি রেওয়াজ। তারা প্রথম দিন ঈদ আনন্দ করে। তাছাড়া অনেকের ঘরে রোগী রয়েছে। অনেকেই করোনার কারণে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়িতে আছে।
হাজী সামছুদ্দিন মিয়া প্রতিবছর তিনটি গরু কোরবানি করেন। এ বছর দিচ্ছেন দু’টি। একটি গরু প্রথম দিন বুধবার কোরবানি দিয়েছেন। অন্যটি আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন দিচ্ছেন। তিনি জানান, তারা মতো এমন শতশত পুরান ঢাকাবাসী ঈদের দিন এবং তার পরের দিন কোরবানি দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ‘আগামীকালও অনেকেই কোরবানি দেবেন।’
কোরবানি প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নীতি অনুযায়ী নগরবাসীর ৯০ ভাগ মানুষ ঈদের দিন কোরবানি দিয়ে থাকেন। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন দিয়ে থাকেন বাকি ১০ ভাগ মানুষ। আমরা প্রথম দিনের বর্জ্য ২০ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করে থাকি। বাকি দিনগুলোর বর্জ্য উৎপাদনের পরপরই অপসরণ করি।
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন
আর আই