জাতীয়

দীর্ঘ এক বছর পর ঈদে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেন স্থায়ী কমিটি সদস্যরা

ঢাকা, ২১ জুলাই – এক বছর পর বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বুধবার (২১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান পর্যায়ক্রমে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় প্রবেশ করেন।

জানা গেছে, দলের চেয়ারপারসনকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতেই মূলত এই সাক্ষাৎ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা তাদের নেত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন যিনি খালেদা জিয়ার বাসায় অবস্থান করছেন।

গত বছরের ঈদুল আজহার দিন ফিরোজাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেছিলেন।

এবছরে রমজানের ঈদের সময়ে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে পোস্ট কোভিড জটিলতা নিয়ে বসুন্ধরায় ভর্তি থাকায় নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার এন্ড হসপিটালে গিয়ে মর্ডানার প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করেন।

২০১৮ সালে দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ২টি এবং পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কেবিনে ২টি ঈদ উদযাপন করেন তিনি। কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ওই সময়গুলোতে ঈদের দিন আত্বীয় স্বজনরা খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছিলেন এবং তাদের বাসা থেকে রান্না করে আনা খাবার খাবার খেয়েছেন তিনি।

গত ১৪ করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার পর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাদের পরামর্শে ২৭ এপ্রিল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫৩ দিন পর ১৯ জুন তিনি আবার বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

পোস্ট কোবিড জটিলতায় খালেদা জিয়ার পুরনো রোগ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিকের পাশাপাশি হৃদযন্ত্র ও কিডনি জটিলতহায় ভোগছেন।

দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ড নিয়ে ৩ বছর আগে কারাগার যেতে হয়েছিলো ৭৬ বছর বয়েসী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় একরকম কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে রয়েছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ ছিলো একেবারেই সীমিত।

তথ্যসূত্র: আরটিভি
এস সি/ ২১ জুলাই

Back to top button