জাতীয়

ঈদের দিন গরুর চেয়ে ক্রেতার সংখ্য়া বেশি

ঢাকা, ২১ জুলাই – প্রতিবছরই ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু বিক্রিতে দুই ধরনের ঘটনা ঘটে। বিক্রেতারা বেশি টাকায় বেচতে দাম ধরে রাখেন শেষ পর্যন্ত, নয়তো শেষদিনে পড়ে যায় দাম। এ বছর ঈদের আগের দিনে গরুর দাম নিম্নমুখী থাকায় কম দামে পশু পেয়েছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতাদের অভিযোগ ছিল গরুপ্রতি পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা লোকসান দিয়েছেন তারা। তবে ঈদের দিন গভীর রাতে বাড়তে শুরু করে দাম।

ঈদের আগের দিন দাম পড়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ ব্যাপারী কোরবানির পশু নিয়ে ফিরে যান। গরু কম থাকার সুযোগে দাম বাড়ান হাটে থাকা বাকি ব্যাপারীরা।

বুধবার (২১ জুলাই) গাবতলী গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটের এক-তৃতীয়াংশ খালি। যারা বিভিন্ন কারণে গরু কিনতে পারেননি তারা এসেছেন ঈদের দিন।

টাঙ্গাইলের ব্যাপারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘১০টা গরু এনেছিলাম। ছয়টা বিক্রি করছি কাল রাতে। ভালো দাম পাইছি। রাত একটার পর দাম বাড়ছে গরুর। ঈদের দিন সকালেও ভালো দাম পাইছি। সবগুলাই লাখের ওপর বিক্রি করতে পারছি।’

তিনি বলেন, ‘অবাক করার বিষয়, সারাদিনে বেচাকেনা নাই। আমি গাড়িতে ফোন দিলাম। চলে যাব, পরে হাট কমিটি বলছে গরু নেয়া যাবে না। থেকে গেলাম, পরে রাতে দাম বাড়া শুরু হইছে।’

লালবাগ থেকে আসা ব্যবসায়ী শামসুল বলেন, ‘কালকের দাম আর আজকের দামে আকাশ-পাতাল তফাৎ। কাল যে গরু ৯০ হাজারে দিয়েছে, আজ সেই গরু এক লাখ ৩০ হাজারেও দিতে চাচ্ছে না।’

তবে শেষ মুহূর্তেও বাড়েনি বড় গরুর দাম। কুষ্টিয়ার ব্যাপারী তরিকুল বলেন, ‘৪৫টা গরু আনছি। মাত্র ৫টা বিক্রি করতে পারছি। যে গরু আমি তিন লাখে কিনে চার মাস পালছি সেই গরু কাস্টমার দুই লাখ টাকা বলে। যেগুলা বিক্রি করছি, প্রত্যেকটাতেই ২০-২৫ হাজার টাকা লস দিছি।’

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে আসা ব্যাপারী মিন্টু শেখ বলেন, ‘কাল রাতে গরু কম ছিল। কিন্তু অনেক কাস্টমার ছিল। ১৭টা গরু আনছিলাম, এখন একটা আছে। গরু কালকের আগেই বিক্রি করছি সব আমরা লাভ করতে পারি নাই। এক লাখ ২৫ এর গরু ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হইছে।
গতবছর লাভ করছিলাম, কিন্তু এইবার পুরাই ধরা।’

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/২১ জুলাই ২০২১

Back to top button