শরীয়তপুর

শরীয়তপুরের ৫০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

শরীয়তপুর, ২০ জুলাই – সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে শরীয়তপুরের ৫০ গ্রামের মানুষ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করলেও, তারা পশু কোরবানি দেননি।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদুল আজহার জামাত শেষে কোরবানির কোনো আয়োজন করা হয়নি। সুরেশ্বর দরবারের শুরু থেকে এ প্রথা প্রচলিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভক্তরা।

জানা যায়, সকালে এ দরবারে দুই পীরের মুরিদরা আলাদা দুটি জামাতে বিভক্ত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব জামাতে প্রায় তিন হাজার ভক্ত অংশ নেন।

সুরেশ্বর দরবার শরিফের পীর কামাল নুরী তার অনুসারীদের নিয়ে মাজারের সামনে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এদিকে অপর পীর শাহ নুরে আক্তার হোসেন (চুন্নু মিয়া) তার অনুসারীদের নিয়ে মসজিদ ও মসজিদের মাঠে নামাজ আদায় করেন।

সুরেশ্বর দরবার শরিফের পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহীন নূরী বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সুরেশ্বর দরবার শরীফ মাঠের প্রাঙ্গণে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আমরা শুধু ঈদ না সব ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পালন করি। আজ সেখানকার মতো কোরবানির ঈদের জামাত পালন করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগের রীতি অনুযায়ী, আমরা পশু কোরবানি দেই না। তবে নামাজ শেষে ভক্তদের গরু ও খাসির গোস্ত দিয়ে বিরানি এবং খিচুড়ি খাওয়াই।’

দরবার শরিফের আরেক পীর শাহ দিদার নূরী বলেন, পশু কোরবানির ধারণার সঙ্গে আমরা একমত নই। তবে ভক্তদের কোরবানি দিতে কোনো বাধা নেই। আমরা পশু কোরবানি করি না।

এ ব্যাপারে বুড়িরহাট ঐতিহাসিক জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা সাব্বির আহমেদ উসমানী বলেন, ‘মুসলমান হয়ে কেউ যদি কোরবানিকে অস্বীকার করেন, তাহলে তিনি আর মুসলমান থাকেন না। আমাদের দেশের ওলামা একরাম সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পছন্দ করেন না। আমাদের দেশে চাঁদ দেখা কমিটি আছে। তারা যদি শরীয়াহ মোতাবেক চাঁদ দেখে নিশ্চিত করেন, তাহলেই ঈদ হবে।’

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ২০ জুলাই

Back to top button