ইয়াসের স্মৃতিতে উসকে ফের নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে উপকূলে
কলকাতা, ১৮ জুলাই- ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (cyclone yaas) আঘাত হেনেছিল ওড়িশা উপকূলে। যার কিছু অংশ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও আঘাত হেনেছিল। ২১ জুলাই নাগাদ ওড়িশা উপকূলের কাছে ফের একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনায় ইয়াসের স্মৃতিই কি উসকে দিতে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও আবহাওয়া দফতর (weather office) বেশি কিছু না ভেবে নজরে রাখার পক্ষপাতী।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২১ জুলাই নাগাদ উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সন্নিহিত অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। তবে সেখানে নিম্নচাপের পরবর্তী ভবিষ্যত নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে চাই নির্দিষ্ট তাপমাত্রা
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে গেলে চাই উপযুক্ত আবহাওয়া। সেক্ষেত্রে সমুদ্রের উপরের অংশের তাপমাত্রা হতে হবে ২৯-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। তবে এই সময়ে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপরে তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রির ওপরে রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে জুলাইয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাস
সাধারণভাবে জুলাই মাসে বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ওপরে থাকে। সেই কারণে নিম্নচাপ থেকে তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে না। সাধারণভাবে শুধু জুলাই নয়, জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকে। সেই কারণেই এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে না। বঙ্গোপসাগরের ইতিহাসে দেখা গিয়েছে জুলাই-অগাস্ট মাসে সেখানে কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়নি। তবে আবহাওয়া দফতরের গবেষণায় দেখা গিয়েছে জুলাই-অগাস্ট মাসে বঙ্গোপসাগরে একের পর এক নিম্নচাপ তৈরি হয়।
ওড়িশা উপকূলেই প্রভাব পড়ার আশঙ্কা
তবে এই নিম্নচাপ তৈরি হলে, তার প্রভাব মূলত ওড়িশা উপকূলেই পড়তে চলেছে। পুরী, ভুবনেশ্বর, কটক-এ অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে। এছাড়াও বাকি রাজ্যেও বৃষ্টি হবে। উপকূলে জগতসিনপুর থেকে বালাসোরের মধ্যের এলাকায় ঘন্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ইয়াসের পরে গুলাব
মে মাসে আঘাত হেনেছে ইয়াস। এর পরে যে ঘূর্ণিঝড় আসবে তার নাম গুলাব। এই নামটি দিয়েছে পাকিস্তান। পরেরটির নাম শাহিন, নাম দিয়েছে কাতার। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য এখনই ১৫০ টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেডি করা আছে। এই অঞ্চলের ১৩ টি দেশকে নিয়ে গঠিন এসক্যাপ ( ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসেফিক) প্যানেলে ভারত ছাড়াও রয়েছে, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইউএই এবং ইয়েমেন।
সূত্রঃ One India Bengali
আর আই